আলো রিপোট:
কবি ও ছড়াকার আনোয়ার হোসেন বলেছেন — আমার জীবদ্দশায় যদি কোন দিন সম্ভব হয় তাহলে জন সাধারণের জন্য গণ পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করতে চাই।যাতে করে পাঠাগারের মাধ্যমে বই পড়ে মানুষ অনেক কিছু জানতে পাড়ে।
তিনি আজ সোমবার অনলাইন নিউজ পোস্টাল ‘ শিবপুরের আলো ২৪ ডট কম ‘এর সাথে খোলামেলা আলোচনায় এ কথা বলেন।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়নের সৈয়দ নগর গ্রামের জিন্নাত আলীর ছেলে কবি ও ছড়াকার আনোয়ার হোসেন আরো বলেন —
আমি ছাত্র জীবন থেকেই পড়া লেখার পাশাপাশি লেখালেখি করতে অনেক পছন্দ করতাম।তাই পড়া লেখা ঠিক রেখে ফাঁকে ফাঁকে বাবার কাজে সহযোগিতা করার পাশাপাশি বিভিন্ন কবিতা ও ছড়া লেখার চেষ্টা করতাম।কিন্তু হাই স্কুলের শেষ সময়ে এসে সংসারের সব দায়িত্ব নিতে হয়েছিল আমাকে।এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করে বিএ‘তে ভর্তি হয়েছিলাস আমি। অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে আর পড়া লেখা হয়নি আমার।কিন্তু শত সমস্যা থাকা সত্বেও লেখা লেখি ছাড়তে পারিনি আমি। আমার ৬৮ বছর জীবনে অনেক লিখেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমার। অর্থের অভাবে আজ পর্যন্ত কোন একটা বই প্রকাশ করতে পারি নাই ।লেখালেখির পাশাপাশি বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠনের সাথে জড়িত আছি আমি।
বর্তমানে আমার তিনটি ছেলে নেদারল্যান্ডের ইউনিভার্সিটিতে লেখা পড়া করছে। বইইয়ের সঙ্গে পাঠকের আত্মিক সম্পর্ক তৈরি করতে এক সময় তরুণ, শিশু-কিশোরদের অবসর সময় কাটতো বিভিন্ন পাঠাগারে।কিন্তু বর্তমানে অবসর সময়ে বই বা খেলাধুলার পরিবর্তে তরুণ ও শিশু-কিশোরদের হাতেহাতে এখন মোবাইল। যে মোবাইল ও ইন্টারনেট ছিল প্রযুক্তির আশীর্বাদ সে মোবাইল ও ইন্টারনেটই যেন প্রকৃতির অভিশাপ হয়ে দাড়িয়েছে।তাই আমার পক্ষে যদি কখনো সম্ভব হয়, তাহলে বইয়ের সঙ্গে পাঠকের আত্নিক সর্ম্পক গড়ে তুলতে গণ পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করবো।