রাজনৈতিক প্রতিবেদক:
শিবপুর মডেল থানায় ফিরোজ তালুকদার ওসির দায়িত্ব গ্রহণ করার পর গতকাল বুধবার রাতে শিবপুর উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আপেল মাহমুদ সুমন মুন্সী কে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ।ফলে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে গ্রেফতার আতংক।গত ২৪ ডিসেম্বর নরসিংদী লাইন এনও থেকে শিবপুর মডেল থানায় ওসির দায়িত্ব গ্রহণ করার পর গতকালের গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার অভিযান চালু করেছেন এমনটাই মনে করেন অনেকে।তবে পুলিশ বলছে আমরা জনগণের নিরাপত্তার দেওয়ার জন্য সব সময় চেষ্টা করি।যিনি অন্যায় করবেন তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।সুমন মুন্সীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা রয়েছে।তাই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, আপেল মাহমুদ সুমন মুন্সী গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে শিবপুর থেকে বাড়ী আসার পথে আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া গোল চত্বরের উত্তর পশ্চিম পাশে পৌছলে থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।তাকে একাধিক মামলার আসামী বানিয়ে দুপুরের আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে জামিন না দিয়ে জেল হাজতে প্রেরন করার নির্দেশ দেন।সাপ্তাহিক ছুটির কারণে শুক্র ও শনিবার আদালত বন্ধ থাকবে।তাই জামিনের জন্য আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে।
স্থানীয় কয়েক জন বিএনপির নেতাকর্মী শিবপুরের আলো ২৪ ডট কম’কে বলেন –বর্তমান জালিম সরকার পুলিশ বাহিনী দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে।নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে আন্দোলন দমানো যাবে না।গত ২৪ ডিসেম্বর নরসিংদীতে অনুষ্ঠিত গণ মিছিল থেকে পুলিশ শিবপুরের বেশ কয়েক জন নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছিল।পরের দিন আদালতে হাজির করা হলেও তাদের কে জামিন দেয় নি আদালত।গতকাল রাতে শিবপুর উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আপেল মাহমুদ সুমন মুন্সী কে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে শিবপুর থানা পুলিশ।আজকে বৃহস্পতিবার (৫/১/২০২৩) দুপুরের আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে জামিন না দিয়ে জেল হাজতে প্রেরন করারর নির্দেশ দেন।তাই নেতাকর্মীদের উচিত সব সময় চোঁখ-কান খোলা রাখা।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে শিবপুর আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সদস্য সচীব আলহাজ্ব মন্জুর এলাহী যে কোন সময় গ্রেফতার হতে পারেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন—জেলার মধ্যে শিবপুর উপজেলাটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।মরহুম আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া ক্ষমতায় থাকা কালীন সময় থেকে স্থানীয় বিএনপি ও আ’লীগ নেতাদের মধ্য ভালো সর্ম্পক ছিল।কিন্তু গত বছর উপজেলা আ’লীগের সভাপতির পদ থেকে হারুন অর রশীদ খাঁন কে অব্যাহতি দেওয়ার পর সেই সর্ম্পকে ফাটল ধরে।প্রথমে হারুন অর রশীদ খাঁনের একক সিদ্ধান্ত সব কিছু চললেও এখন সেখানে ভাগ বসিয়েছেন আরো কয়েক জন আ’লীগ নেতা।এছাড়াও সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তাই আগামীতে হয়তো আরো অনেক কিছু ঘটতে পারে।