শিবপুর উপজেলার ঘাশিরদিয়া গ্রামের এক দরিদ্র পরিবারের চার বছরের মেয়ে উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে দু’দিন এসে টাকা দিয়ে টিকেট নিলেও সরকারী চিকিৎসা তার কপালে জুটেনি।সেই অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এফবি’তে তুলে ধরেছেন পাশের বাড়ির এক যুবক।তা হুবহুব নিচে তুলে ধরা হলো:
এই ভোগান্তির শেষ কোথায়?
গত রবিবারে পাশের বাড়ির এক ছোট মেয়ে বয়স 4 বছর, খেলার সময় পড়ে গিয়ে হাতে ব্যাথা পায়, দ্রুত তাকে শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই,টিকেট কেটে দেখি ডাক্তার নাই,সময় তখন 1ঃ50
কিন্তু বহিঃবিভাগের সাইনবোর্ডে স্পষ্ট উল্লেখ আছে রোগী দেখার সময় সকাল 8 থেকে দুপুর 2ঃ30 পর্যন্ত।অন্য এক ডাক্তারের কাছে জিজ্ঞাসা করলাম অর্থপেডিক্স ডাক্তার কোথায়,উনি বললেন বাহিরে গেছে একটু অপেক্ষা করতে, প্রায় 2 টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে ডাক্তারের খোজ পেলাম না,ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ভাবলাম এই সময়ের মধ্যে মাডিসিনের একজন ডাক্তার দেখি,সময় তখন 1ঃ50,গিয়ে দেখি মেডিসিন ডাক্তারও এই সময়ের মধ্যে চলে গেছে।
ডাক্তার না পেয়ে বাচ্চাটিকে সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে এক্স-রে করাই।হাতের অবস্থা তেমন গুরুতর না দেখে প্রাথমিক ব্যান্ডিস করে আর কিছু ঔষুধ নিয়ে বাড়িতে চলে আসি। আর জেনে আসলাম আজ মঙ্গলবার উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লেক্সে অর্থপেডিক্স ডাক্তার বসবে,
তাই আজ (৮/১১/২০২২) নির্দিষ্ট সময়ে সকাল ৮ টায় আবার বাচ্চাটিকে নিয়ে যাই হাসপাতালে,গিয়ে দেখি বিশাল লাইন করে মানুষ দাঁড়িয়ে আছে 10 নাম্বার রুমের বাহিরে (অর্থপেডিক্স)। কিন্তু ভিতরে ডাক্তার নাই। প্রায় 1 ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আছি ডাক্তার আসবে বলে কিন্তু আসার খবর নাই।জরুরি বিভাগে গিয়ে এক ডাক্তার কে জিজ্ঞাসা করলাম তিনি বললেন আসবে একটু পরে, ওনার কাছ থেকে আজ অর্থপেডিক্সে যে ডাক্তার বসবে তার নাম জানতে চাইলাম,ওনি ডাক্তারের নাম বললেন(নামটা প্রকাশ করলাম না)আশা করি ওনি নিজেকে শুধরে নিবেন।
আবার গিয়ে লাইনে দাড়ালাম লাইনে আরো কয়েক জন বৃদ্ধ ও হাতে এক্স-রে এর কাগজ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে অধীর আগ্রহে কখন ডাক্তার নামের সেই সোনার হরিনের দেখা পাবে।লক্ষ করে দেখলাম বয়ষ্ক বিধায় তাদের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।সময় তখন 11ঃ20 তখন ও ডাক্তার আসার কোনো খবর নাই।হয়তো এই সময়ে প্রাইভেট কোনো সেন্টারে বসে রোগী দেখছে আর টাকা কামাচ্ছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই যদি হয় শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিত্র তাহলে গরীব সাধারন মানুষ যাবে কোথায়?
আমরা যদি নিজ থেকে এর প্রতিবাদ না করি তাহলে সাধারন গরীব মানুষ এই ভাবেই দিনের পর দিন সরকারি সেবা হতে বঞ্চিত হবে।
পরিশেষে এমন ডাক্তারদের উদ্দেশ্য করে বলতে চাই,,
ডাক্তার নয়, আগে মানুষ হন।
এই দেশে ডাক্তারের সংখার চেয়ে মানুষের অনেক অভাব।
যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।