আবুনাঈমরিপন, স্টাফ রিপোটার:
বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্হানীয় একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা, শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হারুনুর রশিদ খানকে বাসায় ঢুকে গুলি করার ঘটনায় অবশেষে শিবপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।যার মামলা নং- ১৭। আজ সোমবার (২৭/২/২০২৩) আহত চেয়ারম্যানের ছেলে আমিনুর রশিদ খান তাপশ (৩৮) বাদী হয়ে উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়নের কামারগাঁওয়ের আরিফ সরকারকে প্রধান আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।এছাড়াও মামলায় আরোও ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামী করা হয় দায়েরকৃত মামলায়।মামলার অন্য আসামীরা হলেন পূর্ব সৈয়দনগর এলাকার মৃত আয়েছ আলীর ছেলে মো: মহসিন মিয়া (৪২), পুটিয়া কামারগাঁও এলাকার সুরুজ মোল্লার ছেলে ইরান মোল্লা (৩০), মুনসেফেরচর এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে শাকিল (৩৫), কামারগাঁও এলাকার নাজিম উদ্দিনের ছেলে হুমায়ূন (৩২) ও নরসিংদী সদর থানার ভেলানগর এলাকার ড্রাইভার নূর মোহাম্মদ (৪৮)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, আসামীরা এলাকার একটি মসজিদের অনুদান নিতে এসেছেন জানিয়ে ফোন করে চেয়ারম্যানকে দরজা খুলতে বলেন। পরে তারা চেয়ারম্যানের বাসায় ঢুকেন। এসময় চেয়ারম্যান তাদের বসতে বলে আপ্যায়নের জন্য বাসার ফ্রিজের দিকে ঘুরলে পেছন থেকে ৩ জন গুলি করেন। এতে চেয়ারম্যান পিঠে গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়লে আসামীরা মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যায়।
শিবপুর মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার শিবপুরের আলো ২৪ ডট কম’কে বলেন—গতকাল পর্যন্ত থানায় মামলা দায়ের করা না হলেও এখন পর্যন্ত ঘটনার সাঘে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এছাড়া হামলায় ঘটনায় ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল ও একটি প্রাইভেটকার জব্দ রয়েছে। দ্রুতই গুলির প্রকৃত কারণ জানা ও জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য যে, গত শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে চেয়ারম্যানের নিজ বাসায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হারুন অর রশিদ খান দুর্বৃত্তদের দারা গুলিবিদ্ধ হোন।
ছয় আসামীর মধ্যে প্রধান আসামী আরিফ সরকার গোয়েন্দাদের হাতে আটক আছে।বাকিরা এখনো গ্রেফতার হয়নি।তবে তাদের ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।