আলো রির্পোট:
বাংলাদেশের রুপকার বঙ্গবন্ধুর গড়া আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও সাবেক প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠা করা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্বে রয়েছেন নরসিংদীর শিবপুরের দুই কৃতি সন্তান।এরা হলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো:আকরামুল হাসান মিন্টু আর জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম মাহবুবুল হাসান মাহবুব। এরা দু’জনই জাতীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক মাঠে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
:: আকরামুল হাসান মিন্টু ::
মো: আকরামুল হাসান মিন্টু।১৯৭৯ সালে একটি মুসলিম, রাজনৈতিক ও মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন ।উপজেলার যশোর ইউনিয়নের যশোর গ্রামের সুলতান উদ্দীন মোল্লার ছেলে তিনি। সুলতান উদ্দীন মোল্লা দীর্ঘ সময় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
মো: আকরামুল হাসান মিন্টু ১৯৯৫ সালে নরসিংদীর কে কে এম সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ঢাকা কমার্স কলেজ থেকে ১৯৯৭ সালে এইচ এস সি পাশ করেন।১৯৯৮ সালে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে ভর্তি হোন। সেখানেই ১৯৯৮ সালে ছাত্রদলে যোগ দিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন তিনি।২০০৩ সালে শেখ মুজিব হলের ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি।অল্প সময়ের মধ্যে ভালো কাজের সুফল হিসেবে ২০০৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ন সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।২০১৩ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের যুগ্ন সম্পাদকের দায়িত্ব পান তিনি।২০১৪ সালে ছাত্রদলের কেন্দীয় কমিটির সাধারণ দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে।২০১৬ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএসপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য মো: আকরামুল হাসান মিন্টু শিবপুরের আলো ২৪ ডট কম’কে বলেন —–জাতীয় পর্যায়ে আসতে আমাকে অনেক পরিশ্রম ও ত্যাগ শিকার করতে হয়েছে। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে রাজপথে আন্দোলন করছি আমরা।নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহণ করবে। আর আসনটি পুনরুদ্ধার করতে সংসদ নির্বাচনে নরসিংদী শিবপুর আসনে আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিবে বলে আমি আশাবাদী। দীর্ঘ সময় ধরে শিবপুর উপজেলা বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষকদল,যুবদল, তরুন যুব সমাজকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, খেলাধুলা সহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডে নিজেকে শরিক করছি।
:: আ.ফ.ম মাহবুবুল হাসান মাহবুব ::
আ.ফ.ম মাহবুবুল হাসান মাহবুব।বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ১৯৭৯ সালের ৩১ডিসেম্বর নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের লাখপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। শিবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব মহসীন নাজিরের ছেলে তিনি।
১৯৯০ সালে লাখপুর শিমুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেনীতে পড়ার সময় দেশে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সারা বাংলাদেশ উত্তাল ছিল। সেই উত্তাল সময়ে শিবপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মরহুম আলহাজ্ব হারুনুর রশিদ খানের নির্বাচনী প্রচারণার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। অষ্টম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় নিজের গ্রাম লাখপুরে সমবয়সী ছাত্রদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগার ও সূর্য তরুণ সংঘ নামে একটি ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন।বাবা – মা দুজনেই চাকুরীজীবী ও বড় কৃষক পরিবারে জন্ম গ্রহণ করায় তখনকার সময়ে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ছিল তাদের পরিবার। সেই কারণে সহপাঠীদের সংঘটিত করা, নেতৃত্ব দেয়া ও অর্থ জোগান দেয়া ছিলো সহজ কাজ। বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ছাত্র রাজনীতি করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলের আবাসিক ছাত্র থাকাকালীন সময়ে উনি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। সুতরাং জয় বাংলা’ র ঘরেই তার জন্ম। বাবা- মায়ের কাছে বঙ্গবন্ধু আর মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনতে শুনতেই তিনি বেড়ে উঠেছে। ১৯৯৪ সালে লাখপুর শিমুলীয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। ঢাকার সরকারী বিজ্ঞান কলেজ থেকে ১৯৯৬ সালে এইচ এস সি পাশ করেন তিনি। সে সময় তেজগাঁওয়ে বড় খালার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতেন। বড় খালা তেজগাঁও থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৯৬ সালের অসহযোগ আন্দোলনে খালার সাথে আফম মাহাবুবুর রহমান তেজগাঁও এলাকায় বিশেষ করে ফার্মগেটে সাহারা খাতুন, আইভী রহমান, সাজেদা চৌধুরীদের সাথে মিছিল মিটিংয়ে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন। বিজ্ঞান কলেজে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ফুলটাইম রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন তিনি। ১৯৯৯ সালে দ্বিতীয় বর্ষে পড়া অবস্থায় ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য নির্বাচিত হোন। পরবর্তীতে ২০০১ সালের পটপরিবর্তনের পর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করার জন্য জীবন বাজি রেখে কাজ করায় ছাত্রদল বার বার তাকে হল থেকে বের করে দিয়েছিল। ২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রত্যক্ষ ভোটে আঞ্চলিক সমীকরনে অল্প ভোট হেরে গিয়ে সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে রাজপথে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহণের পাশাপাশি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ২০০৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি দেশের বাহিরে চলে গেলে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে ২০১০ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করার সুযোগ পান । ছাত্রলীগ করার বয়স অতিক্রান্ত হওয়ার পর জাতীয় নেতা কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতি শুরু করার পর ২০১২ সালের সম্মেলনে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হয়ে সিলেট বিভাগের দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি পেশাজীবি রাজনীতিতেও সক্রিয় অংশগ্রহণ করছেন তিনি।
শিবপুরের আলো ২৪ ডট কম’কে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম মাহবুবুল রহমান মাহবুব বলেন– ২০১৪ সাল থেকে অধ্যাবদি পর্যন্ত কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছি। বিগত ১১ বছর যাবত শিবপুর উপজেলা ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগ সহ তরুন যুব সমাজকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদে খেলাধুলা, উন্নয়ন কর্মকান্ডে শরিক হচ্ছি। করোনা মহামারীতে নিজস্ব অর্থায়নে শিবপুরের মানুষের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করেছিলাম। অক্সিজেন সেবা, এম্বুলেন্স,করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরন সহ বিভিন্ন ভাবে মানুষের পাশে থেকেছি। ঈদ, পূজাতে দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশে থেকেছি। সর্বোপরি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আপার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে নিজেকে উজাড় করে দিয়ে রাজপথে থেকে প্রিয় নেত্রীকে চতুর্থ বারের মতো প্রধানমন্ত্রী বানাতে কাজ করে যাচ্ছি।