চারদলীয় জোট সরকারের সাবেক স্হানীয় সরকার,পল্লীউন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী, বিএনপি’র সাবেক মহাসচীব মরহুম আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া গত ১/১১ সময় দলের মধ্যে সংস্কার প্রস্তাব ঘোষণা করায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে দলের সাবেক চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।ফলে আব্দুল মান্নান ভূঁইয়ার বা বিএনপি’র ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত নরসিংদীর ৩ শিবপুর আসনটি দীর্ঘ ১৪ বছর যাবত রয়েছে আওয়ামীলীগের দখলে।মান্নান ভূঁইয়া বিএনপির দলীয় মনোনয়ন নিয়ে একাধারে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ছিলেন।
জানাগেছে, মরহুম আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া জাতীয় সংসদের ২০৩ শিবপুর আসনে ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ( বিএনপি)’র দলীয় মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে পরাজিত করে বিজয়ী হোন। তারপর ১৯৯৫,১৯৯৬,২০০১ ইং সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে একাধারে বিজয়ী হোন তিনি।কিন্তু ১/১১ সময় দলের মধ্যে সংস্কার প্রস্তাব ঘোষণা করায় বিএনপির মহাসচীব সহ দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে মান্নান ভূঁইয়াকে বহিষ্কার করে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদাজিয়া।ফলে ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয় জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন মাস্টারকে।আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে।কিন্তু নির্বাচনে ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার ভোট পান মাএ ১৬ হাজার।ফলে জামানত হারাতে হয় তাকে।তারপর মান্নান ভূঁইয়া বা বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত শিবপুর আওয়ামীলীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
এব্যাপারে আব্দুল মান্নান ভূঁইয়ার সমর্থক কয়েকজন নেতা-কর্মী দৈনিক সকালের আলো’কে বলেন – আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া ছিলেন একজন আর্দশবান নেতা।তিনি বিএনপির জন্য অনেক কিছু করেছিলেন।এক সময় শিবপুর ছিল মান্নান ভূঁইয়া বা বিএনপির ঘাঁটি।অথচ আজকের দিনে দেখুন শিবপুরে বিএনপির কি করুন অবস্হা।সংস্কার প্রস্তাব ঘোঘণা করায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে দলের বারোটা বাজিয়ে দিয়ে
ছিলেন বেগম খালেদাজিয়া। যার খেসারত বর্তমানে মা ও
ছেলের পাশাপাশি দেশের জনগণকে দিতে হচ্ছে।