প্রভা
আত্নহত্যা করতে প্ররোচনা করার অভিযোগে অবশেষে নরসিংদীর শিবপুর সরকারী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা কণিকার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে রাজি না হওয়ায় থানার উপপরির্দশক আফজল মিয়া বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। আত্নহত্যা করা প্রভা উপজেলার বাঘাব ইউনিয়নের জয়মঙ্গল গ্রামের প্রবাসী ভুট্ট’র মেয়ে।
জানাগেছে, গত বৃহস্পতিবার মারা যাওয়ার আগে থানায় ওই শিক্ষার্থীর দেওয়া বক্তব্য মামলার এজাহার হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার শ্রেণিকক্ষে শিক্ষিকার অপমান সইতে না পেরে ওই শিক্ষার্থী বিষ খেয়ে নিজেই থানায় গিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে সেখান থেকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শুক্রবার দুপুরে নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে নিহত শিক্ষার্থীর লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়। এসময় নিহত শিক্ষার্থীর স্বজনেরা জানান, ছোটবেলা থেকেই সে ছিলো জ্বিদী। সে কারও কথা শুনতে চাইত না। কিছুদিন অর্থাৎ পাঁচ মাস আগে মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করেও একবার এরকম ঘটনা ঘটিয়েছিলো। তখন চিকিৎসকদের চেষ্টায় কোনোমতো বেঁচে যায়।
এরপর সে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তার পরিবারের মধ্যে সে একমাত্র তার বাবাকেই ভয় পেত। বাবা ছয় মাস ধরে প্রবাসে। তার এসব কার্যকলাপে পরিবারের সবাই অতিষ্ঠ ছিল। নিহত শিক্ষার্থীর মা বলেন, আমরা এ ঘটনায় কোনো আইনি ব্যবস্থা নিতে চাই না। কারও বিরুদ্ধে দোষ দিয়ে কি লাভ। ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আমার বা আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। আমরা থানা-পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি।
আমি তার মা হিসেবে তাকে আমি চিনি। বিষয়টি এখানেই শেষ হোক।এটা নিয়ে আমরা আর কোনো বাড়াবাড়ি চাই না।
শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন মিয়া বলেন- ওই শিক্ষার্থী মৃত্যুর আগে থানায় এসে ঘটনার যে বর্ণনা দিয়েছেন, সে অনুযায়ী আমরা একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে রেখেছিলাম। এ ঘটনায় কিশোরীর বক্তব্য এজাহারে উল্লেখ করে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শিক্ষিকাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।