নরসিংদীর শিবপুর সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী আইনুন তাজরি প্রভা আত্নহত্যার প্ররোচনার জন্য শিক্ষিকা নার্গিস সুলতানা কণিকার বিরুদ্ধে কোন প্রমান পায়নি এক সদস্য বিশিষ্ট্য তদন্ত কমিটি।উপজেলার বাঘাব ইউনিয়নের জয়মঙ্গল গ্রামের প্রবাসী ভুট্টুর মেয়ে গত বৃহস্পতিবার ঈদুর মরার ঔষধ খেয়ে আত্নহত্যা করে। ঘটনা ঘটার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিনিয়া জিন্নাতের নির্দেশে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: আলতাব হোসেনকে ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।দুই কর্ম দিবসের সময় বেধে দিলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা পাঁচ কর্ম দিবসে অথ্যাৎ আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
জানাগেছে, ঘটনা তদন্তের সময় তদন্তকারী কর্মকর্তা মো:আলতাব হোসেন ৩০ জন শিক্ষক, ২৯ জন শিক্ষার্থী,২ জন অভিভাবক,প্রভার মা নিলুফা ইয়াসমিন রোজিনা ও শিক্ষিকা কণিকার স্বামী বাবুল মৈশানের জবানবন্দী নিয়েছে। তদন্তে প্রভাকে শাসন করার তথ্য পেলেও আত্নহত্যার প্ররোচনার কোন প্রমাণ পায়নি শিক্ষিকা নার্গিস সুলতানা কণিকার বিরুদ্বে তদন্তকারী কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য যে, গত ১ সেপ্টেম্বর আইনুন তাজরি প্রভা ড্রেস কোড না মেনে শ্রেণীকক্ষে আসলে শিক্ষিকা নার্গিস সুলতানা তাকে শাসন করলে প্রভা অপমানবোধ করে।পরে শ্রেণীকক্ষের বাহিরে গিয়ে ঈদুর মরার ঔষধ খেয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ করে থানার ভিতর ঢলে পড়ে।পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। প্রভার পরিবার মামলা করতে রাজি না হওয়া ২সেপ্টেম্বর পুলিশ বাদী হয়ে শিবপুর থানায় মামলা দায়ের করে।তবে ঘটনার প্রায় পাঁচ দিন পর আত্নহত্যা করা প্রভার মা নিলুফা সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষিকা কণিকার বিচার দাবী করেছেন