ইউএনও’র বরখাস্ত হওয়া গাড়িচালক রুবেল জানান, এক মাসেই ভূঞা সিএনজির ইটাখোলা ও সাহেপ্রতাপ স্টেশন থেকে ৭৭ হাজার টাকার গ্যাস নিয়েছে। তার স্বামী এই গাড়ি নিয়ে প্রায়ই ঢাকা-সিলেট যায়। তার স্বামীই বেশি জ্বালানি ক্রয় করে এবং ব্যবহার বরে। যে মাসে বেশি বেশি যায় সে মাসে বেশি টাকার গ্যাস ও তেল লাগে।
খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে ২০২২ সালের মার্চ ও এপ্রিল মাসে ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকার জ্বালানি নেয় ইউএনও’র এই গাড়ি। এক মাসে দেড় লক্ষাধিক টাকার জ্বালানি কীভাবে ব্যবহার করলো এ ব্যপারে জানার জন্য ইউএনওকে ফোন করলে তিনি ফোন ধরেননি। জেলা প্রশাসন নরসিংদীর এক ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মুখ খুলতে অনিহা প্রকাশ করেন এই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে এই কর্মকতার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হতে গত ২৮ আগস্ট তাকে অন্যত্র বদলী করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এরপর ইউএনও শিবপুর থেকে নরসিংদী আসার পথে গত ১২ সেপ্টম্বর সৈয়দনগর এলাকায় এই গাড়ি নিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হন এই নির্বাহী কর্মকর্তা। গাড়ির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে গেলেও অক্ষত থাকেন তিনি। গত এক বছরে এই ইউএনও তিন জন গাড়িচালক দিয়ে এই গাড়ি চালিয়েছেন। এরই মধ্যে একজন চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন এবং আরেকজনকে বরখাস্ত করেছেন তিনি। এদিকে আজ নতুন ইউএনও’র কাছে এই বিদায়ী ইউএনও’র দায়িত্বভার হস্তন্তরের কথা রয়েছে।