নরসিংদীর শিবপুরে অশনিসংকেত ভর করেছে।গত ১ লা সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে ১৭ ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৩ টি খুনের ঘটনা সহ ১ টি আত্মহত্যা ও বাড়িঘর ভাংচুরের মতো ঘটনা ঘটেছে।ফলে কিছুটা হলেও জনমনে অস্বস্তি বিরাজ করছে।তবে স্হানীয় পুলিশ প্রশাসন বলছে অস্বস্তি বোধ করার কোন কারণ নাই।শিবপুরের মানুষ যাতে সবসসয় শান্তিতে থাকতে পারে সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছি আমরা।
জানাগেছে, গত ১ লা সেপ্টেম্বর শিবপুর সরকারী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী প্রভা স্কুল ডেস না মেনে শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করে।পরে শিক্ষিকা নার্গিস জাহান কণিকা শিক্ষার্থী প্রভাকে শাসন করে।ফলে অভিমান করে শ্রেণীকক্ষের বাহিরে গিয়ে প্রভা বিষ প্রান করে আত্মহত্যা করে।প্রভার আচার – আচারণ উশৃঙ্খল থাকায় আত্মহত্যা করার পর তাঁর পরিবার মামলা করতে রাজি হয়নি।কিন্তু আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে শিবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।গত ৫ সেপ্টেম্বর নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার দক্ষিণ জয়মঙ্গল গ্রামের মাঈনউদ্দিনের ছেলে রং মিস্ত্রি মোবারক মিয়া তার গর্ভবতী স্ত্রীকে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে।
ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর মোবারক মিয়া পারিবারিক কলহের জের ধরে নিজ স্ত্রী সানিয়াকে গলা টিপে হত্যা করে ঘরের মেঝেতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়নের কুমড়াদী গ্রামের কাদির মিয়ার বাড়িতে রাতে আধারে একটি সংঘবদ্ধ চক্র হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর করে।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর সামান্য স্বর্ণের লোভে শিক্ষার্থী মায়মাকে (৮) খুন করা হয়।পরে শিবপুর উপজেলার যশোর ইউনিয়নে শিশু নুসরাত জাহান সায়মাকে হত্যার অভিযোগে শিবপুর থানা পুলিশ দুই জনকে গ্রেফতার করে।এরা হলো উপজেলার যশোর ইউনিয়নের পাহাড়ফুলদী গ্রামের মৃত জমশের আলীর পূত্র হানিফা (৪৫) ও তার স্ত্রী সেলিনা বেগম (২৮)।
গত ১৭ সেপ্টম্বর রাতে ৩ মাসের অন্তঃসত্বা নাদিরা বেগম নামের এক নারী গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যার ধারণা করলেও তার পরিবার বলছে তাকে যোতুকের জন্য পরিকল্পনা করে হত্যা করা হয়েছে। নাদিরার ৮ মাসের একটি সন্তান রয়েছে। আর এই ঘটনাটি ঘটে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার বাঘাব ইউনিয়নের জয়মঙ্গল(সামান্তা) গ্রামে। আব্দুল হাইয়ের ছেলে শিপনের স্ত্রী ছিল নাদিরা বেগম (২০)।গতকাল রবিবার থানা পুলিশ নাদিরার লাশ উদ্ধার করে।