• বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:১৩ অপরাহ্ন

হুমকির মুখে তিন মুক্তিযোদ্ধার ভবিষ্যৎ রাজনীতি!

admin / ৬৭৫ Time View
Update : বুধবার, ৮ মার্চ, ২০২৩

আলো রিপোট:

শস্য শ্যামলা ভরপুর ও শান্তিপ্রিয় মানুষের বসবাস করা উপজেলা হচ্ছে নরসিংদীর শিবপুর।দীর্ঘ ৩৭বছর ধরে শান্ত থাকা শিবপুর এখন হয়ে উঠেছে অশান্ত। এলাকায় নিজেদের সাম্রাজ্য বিস্তারের জন্য চলছে প্রতিযোগিতা।এমন কি ভবিষ্যতে নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা সহ সাম্রাজ্য বিস্তার ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে কেন্দ্র করে চলছে গুলিকরে রাজনৈতিক নেতা হত্যাচেষ্ঠার মতো ঘটনা। বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম মোল্লার যৌথ প্রচেষ্টায় দীর্ঘ সময় ধরে উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব দেওয়া আলহাজ্ব হারুন অর রশীদ খাঁন কে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এমন অভিযোগ ছিল হারুন অর রশীদ থাঁনের পক্ষ থেকে। গত ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর ততকালীন জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় পদ থেকে হারুন অর রশীদ খাঁন কে অব্যাহতি দেওয়ার ক্থা জানানো হয়েছিল।।যার ফলে শিবপুরে ক্ষমতার রাজনীতিতে আসে ব্যাপক পরিবর্তন। রাজনৈতিক মাঠে একক ভাবে রাজত্ব গড়ে তোলা হারুন অর রশীদ খানের ক্ষমতার দাপট আস্তে আস্তে কমতে থাকে।।হারুন অর রশীদ খাঁনের দলীয় পদ না থাকায় প্রভাবশালী একটি গ্রুপের নির্দেশে শিবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কালা মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আবু ছালেক রিকাবদারের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এমন অভিযোগ করা হয় বিএনপির পক্ষ থেকে ।গত ২০২২ সালের ২৪ ডিসেম্বর শিবপুর মডেল থানায় নতুন ওসির পদে ফিরোজ তালুকদার যোগদান করার পর গত ১০ ফেব্রুয়ারী ধানুয়াস্থ নিজ বাসার সামনে থেকে শিবপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু ছালেক রিকাবদার কে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। দেশ স্বাধীন করার সময় যেই ভাবে কাঁদে কাদ মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করছিল সেই ভাবেই আবু ছালেক রিকাবদার কে গ্রেফতারের খবর শুনে ছুটে আসেন হারুন অর রশীদ খাঁন।বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু ছালেক কে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিতে নিজের সাধ্যমত চেষ্টা করেন তিনি।কিন্তু প্রভাবশালী একটি গ্রুপের পক্ষ থেকে ছালেক রিকাবদারকে ছেড়ে দিতে সবুজ সংকেত না পাওয়ায় হারুন অর রশীদ খাঁনের সকল চেষ্টা ব্যর্থ হয়।অনেক চেষ্টা করার পরও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু ছালেক রিকাবদার কে ছেড়ে দিতে রাজি হয়নি পুলিশ এমনটাই জানিয়েছে একটি সূত্র।অবশ্য ছয় দিন কারাবন্ধি থাকার পর স্থায়ী জামিন পেয়ে গত ১৬ ফেব্রুয়ারী জেল থেকে মুক্তি পান তিনি। মূলত উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ খাঁনকে আওয়ামীলীগের দলীয় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার কারণেই বনাঢ্য তিন রাজনৈতিক নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভবিষ্যৎ রাজনীতি হুমকির মুখে বলে মনে করছেন স্হানীয় আওয়ামীলীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা।। এই মুক্তিযোদ্ধারা হলেন শিবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হারুন অর রশীদ খাঁন,বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এসোসিয়েসনের সাবেক মহাসচীব ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হারিস রিকাবদার কালা মিয়া স্যার, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু ছালেক রিকাবদার।

জানাগেছে, বিএনপির সাবেক মহাসচীব, চারদলীয় জোট সরকারের সাবেক স্হানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মরহুম আব্দুল মান্নান ভূঁইয়ার নির্বাচনী এলাকা ছিল নরসিংদী -৩ শিবপুর আসন।১৯৯১.১৯৯৫,১৯৯৬.২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া ধানের শীষের মনোনীত সংসদ সদস্য ও মন্র্রীর দায়িত্বে থাকলেও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে ছিল ভালো সর্ম্পক তাঁর।গত চারদলীয় জোট সরকারের সময় সারাদেশে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের উপর হয়রানী করা হলেও শিবপুরে ছিল এর ব্যতিক্রম। ততকালীন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আবুল হারিছ রিকাবদার কালা মিয়া ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল ছালেক রিকাবদারের সাথে সাবেক উপজেলা আওয়্মীলীগের সভাপতি হারুন অর রশীদ খাঁনের সর্ম্পক ছিল বন্ধুর মতো।সেই কারণে চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় থাকার পরও হারুন অর রশীদ খাঁন শিবপুরে শান্তিতে রাজনীতি করতে পেরে ছিলেন বলে মনে করেন অনেকে ।১৯৮৬ সালে সাবেক সংসদ সদস্য রবিউল আওয়াল কিরন খাঁন বুর্বৃত্তদের ধারা নিহত হওয়া ছাড়া শিবপুরে তেমন আর কোন বড় অঘটন আর ঘটেনি।কিন্তু গত ২৫ ফেব্রুয়ারী শনিবার সকালে শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা আ’লীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব হারুন অর রশীদ খাঁন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ধারা গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় শিবপুরের রাজনীতি এখন অশান্ত হয়ে উঠেছে।গুলির ঘটনার ইন্ধনদাতা হিসেবে প্রকাশ্যেই বর্তমান ও সাবেক এমপির পক্ষ থেকে একে অপরকে দুষারোপ করছেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রথম বারের মতো প্রভাবশালী নেতা হারুন অর রশীদ খাঁন বেচে গেলেও তার ভবিষ্যৎ রাজনীতি এখন হুমকির মুখে।সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে এসে তিনি কতটুকু নিরাপদে রাজনীতি করতে পারবেন এ ব্যাপারে দেখা দিয়েছে শষ্কা।অপরদিকে মরহুম আব্দুল মান্নান ভূঁইয়ার বিশ্বস্ত উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হারিস রিকাবদার ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু ছালেক রিকাবদার দীর্ঘ সময় শান্তিতে রাজনীতি করতে পারলেও মামলার মাধ্যমে তাদের উপর চলছ হয়রানী ও নির্যাতনের মতো ঘটনা।মূলত উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির পদ থেকে হারুন অর রশীদ খাঁনকে সরিয়ে দেওয়ায় এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা

এ ব্যাপারে শিবপুরের আলো ২৪ ডট কম এর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করার চেষ্টার করা হলেও সংযোগ না পাওয়ায় বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম মোল্লার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে শিবপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু ছালেহ রিকাবদার শিবপুরের আলো ২৪ ডট কম’কে বলেন – প্রকৃত ভাবে যারা আওয়ামীলীগার তাদের নিকট আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব না থাকায় শিবপুরে আজকে এই অবস্থা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category