মরহুম আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া

নিজস্ব সংবাদদাতা:
‘একাধারে দশ বছরের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি হতে পারবেন না’ বিএনপির পক্ষ থেকে এমন প্রস্তাব ঘোষণা করেছে বিএনপির স্হায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার দেলোয়ার হোসাইন।২০০৮ সালে দলের মধ্যে সংস্কারের জনো এই প্রস্তাব ঘোষণা করে ছিলেন বিএনপির সাবেক মহাসচীব, চারদলীয় জোট সরকারের স্হানীয় সরকার পল্লী উন্নয় ও সমবায় মন্ত্রী মরহুম আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া।যার ফলে মহাসচীবের পদ সহ দলের প্রাথমিক সদস্য থেকে আব্দুল মান্নান ভূঁইয়াকে বহিষ্কার করেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। তাই র্দীঘ ১৫ বছর পর মান্নান ভূঁইয়া ঘোষণা করা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতে বিএনপি দাবী করায় মৃত মান্নান ভূঁইয়ার বিজয় হয়েছে বলে মনে করেন শিবপুরের সাধারণ জনগণ। দল ও দলের নেতাদের দুর্নীতি মুক্ত , দলের মধ্যে গণতন্ত্র চর্চা করতে ১৫ বছর আগে তিনি এই দাবী করেছিলেন।কিন্তু বিএনপির বারটা বাজিয়ে র্দীঘ সময় পর সেটা বুঝতে পেরে তা বাস্তবায়ন করতে বর্তমান শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি দাবী করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে আব্দুল মান্নান ভূঁইয়ার কয়েক জন ভক্ত শিবপুরের আলো ২৪ ডট কম'কে বলেন—আমরা শিবপুরবাসী সহ বিএনপি আব্দুল মান্নান ভূঁইয়ার মত একজন নেতাকে হারিয়েছে।যা কখনো পূরণ হওয়া নয়।দল, দলের নেতা ও দেশকে দুর্নীতি মুক্ত করতে মান্নান ভূঁইয়া ১/১১ সময় সংস্কার প্রস্তাব ঘোষণা করেছিলেন।যার মধ্য প্রধান দাবী ছিল কোন ব্যাক্তি একাধারে দশ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি হতে পারবেন না।শুধু এই কারণেই ভূঁইয়াকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।বিএনপির আজকের এই দিনের জন্য বেগম খালেদা জিয়াই দায়ী।তখন যদি মান্নান ভূঁইয়াকে বহিষ্কার করা না হতো তাহলে মেরুদন্ড হীন বিএনপি কে আমরা দেথতে পারতাম না।বিএনপি যেই ভুল করেছিল তার খেসারত দিচ্ছে বেগম খালেদা জিয়া ও তার দল।বারো বছর বিএনপির মহাসচীবের দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি দল নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল মান্নান ভূঁইয়া।কিন্তু তার মৃ্ত্যুর পর বিএনপির পক্ষ থেকে কোন শোক প্রকাশ করা হয়নি।এমন কি এখনো পর্যস্ত তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয় নি।মরহুম আব্দুল মান্নান ভূঁইয়ার প্রতি বিএনপি তথা বেগম খালেদা জিয়া যেই অবিচার করেছেন তার খেসারত দিতে হবে।