উপজেলাে আ'লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মাছিমপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ফরহাদ আলম ভূঁঞা.

আলো রিপোর্ট:

প্রবীণ রাজনীতিবিদ, নরসিংদী জেলা আ'লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মাছিমপুর ইউনিয়নের পরিষদের জনপ্রিয় সাবেক চেয়ারম্যান ফরহাদ আলম ভূঁঞাকে স্হানীয় আওয়ামীলীগের রাজনীতি থেকে সরাতে বা দূরে রাখতেই আওয়ামীলীগের একটি চক্র ষড়যন্ত্র করছে। তারই অংশ হিসেবে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি হারুনুর রশীদ খাঁনকে গুলি করে হত্যা মামলায় নতুন করে ফরহাদ আলম ভূঁঞার নাম অন্তর্ভূক্ত করতে আবেদন করা হয়েছে। এমনটাই মনে করছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের অনেক নেতা ও তৃনমূল নেতাকর্মীরা।প্রভাবশালী নেতা ফরহাদ আলম ভূঁঞাকে ঘায়েল করতে সাবেক সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা কাজ করছেন বলে জানায় একটি সূত্র। উপজেলা আওয়ামীলীগের আগামী সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে যাতে প্রতিদ্বন্দ্বী করতে না পারে মূলত সেই জন্যই ফরহাদ আলম ভূঁঞাকে হত্যা মামলায় নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করতে আবেদন করা হয়েছে বলেও মনে করেন কেউ কেউ।

জানাগেছে, মো: ফরহাদ আলম ভূঁঞা মাছিমপুর ইউনিয়নবাসীর বহুল জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়া তিনি আওয়ামীলীগের তৃনমূল নেতাকর্মীদের একজন আস্তাভাজন নেতাও বটে। তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রায় এগার বছর দায়িত্ব পালন করেছিলেন।সেই কারণে তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের নিকট একজন বিশ্বস্ত নেতা হিসেবেও পরিচিত।২০০৩ সালে উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো : আসাদুজ্জামান আসাদকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে ফরহাদ আলম ভূঁঞা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর আওয়ামীলীগের উপজেলা সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিলেন তিনি। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মরহুম হারুনুর রশীদ খান কাউন্সিলদের ভোটের মাধ্যমে  ( কাউন্সিলর ছিল খান সাহেবের পকেট কমিটির সদস্য ) ফরহাদ আলম ভূঁঞাকে পরাজিত করে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। সভাপতি হিসে্বে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার কারণে বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটিতে প্রভাবশালী নেতা ফরহাদ আলম ভূঁঞাকে সদস্য হিসেবেও রাখেন নি হারুন অর রশীদ খান। গত ১৯৯৩ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত উপজেলার মাছিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।

এব্যাপারে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আলম ভূঁঞা শিবপুরের আলো ২৪ ডট কম'কে বলেন -- সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ খাঁনকে গুলি করার ঘটনায় আমি কিছুই জানিনা। অথচ ঘটনার এত দিন পর আমার নাম দায়ের করা মামলায় অন্তর্ভুক্ত করতে আবেদন করেছে মামলার বাদী আমিনুর রশীদ খাঁন। এর বিচার আল্লাহই করবে।

উল্লেখ্য যে, গত ২৫ জানুয়ারী সকালে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও আ'লীগের সাবেক সভাপতি হারুনুর রশীদ খানকে গুলি করে হত্যা করার চেষ্টা করে কতিপয় সন্ত্রাসী। দুই রাউন্ড গুলিবিদ্ধ হওয়ার ৯৪ দিন পর ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন হারুনুর রশীদ খাঁন। মৃত্যুর পরের দিন (১ জুন) চেয়ারম্যানের ছেলে আমিনুর রশীদ খান বাদী হয়ে শিবপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তখন দায়ের করা মামলায় ফরহাদ চেয়ারম্যানের নাম অন্তর্ভূক্ত না করলেও মৃত্যুর ৩৪ দিন পর গত ৪ জুন মামলার বাদী আমিনুর রশীদ খান পূর্বের দায়ের করা মামলায় নতুন করে ফরহাদ চেয়ারম্যানসহ আরো বিশ জনের নাম অন্তর্ভূক্ত করতে আবেদন করেছিলেন।