রাজনৈতিক প্রতিবেদক

স্হানীয় প্রভাবশালী নেতা ও শিবপুর আসনে বিএনপির মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব তোফাজ্জল হোসেন মাস্টারকে মুল্যায়ন করেনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।বিএনপির দুর্সময়ে নেতৃত্ব দেওয়া জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার নিজের জীবন যৌবন সব কিছুই বিএনপির জন্য শেষ করলেও দল তাকে মুল্যায়ন করেনি এমনটাই মনে করেন অনেক তৃনমুল নেতাকর্মীরা।

স্হানীয় বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী শিবপুরের আলো ২৪ ডট কম'কে বলেন- রাজনীতিতে ভালো মানুষের দাম নাই।বিএনপির জন্মলগ্ন থেকেই তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।বিএনপির সাবেক মহাসচীব মরহুম আব্দুল মান্নান ভূঁইয়ার বাম হাত হিসেবে পরিচিত তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার শিবপুরে বিএনপিকে প্রতিষ্ঠিত করতে ভূঁইয়ার পাশাপাশি তিনিও অনেক অবদান রেখেছেন।গত ১/১১ সময় সংস্কার প্রস্তাব ঘোষণা করার কারণে বেগম খালেদা জিয়া সাবেক বিএনপির মহাসচীব মরহুম আব্দুল মান্নান ভূঁইয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করে।ফলে শিবপুর বিএনপি নেতৃত্ব সংকটে পড়ে।২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আব্দুল মান্নান ভূঁইয়ার বিপক্ষে গিয়ে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার জন্য যখন বিএনপি প্রার্থী খুজে পাচ্ছিল না তখন তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মান্নান ভূঁইয়াকে পরাজিত করতে সফল হয়ে ছিলেন।পরে ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহণ করে নি।কিন্তু ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে শিবপুর আসন থেকে বিএনপি তোফাজ্জল হোসেন মাস্টারকে দলীয় মনোনয়ন দেয়নি।একজন প্রভাবশালী ও দুর্নীতি মুক্ত রাজনৈতিক নেতাকে মনোনয়ন না দিয়ে নরসিংদী থেকে ভাড়া করে এনে আলহাজ্ব মনজুর এলাহীকে মনোনয়ন দিয়েছিল বিএনপি।ফলে আ'লীগের মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম মোল্লার প্রচেষ্টায় মামলার মাধ্যমে ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব মনজুর এলাহীর প্রার্থীতা বাতিল করতে সক্ষম হয়েছিল। গত সেপ্টম্বর মাসে জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে খায়রুল কবির খোকন কে আহবায়ক ও মনজুর এলাহীকে সদস্য সচীব করে আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি।এর মাধ্যমে দেড় যুগের বেশি সময় ধরে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার কে রাজনৈতিক মাঠ থেকে ছিটকে ফেলা হয়েছে বলে মনে করেন অনেকে।

স্হানীয় সংস্কারপন্থী কয়েকজন নেতাকর্মী শিবপুরের আলো ২৪ ডট কম'কে বলেন- তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার মরহুম আব্দুল মান্নান ভূঁইয়ার অনেক বিশ্বস্ত লোক ছিলেন।কিন্তু ১/১১ সময় বিএনপি থেকে মরহুম আব্দুল মান্নান ভূঁইয়াকে বহিষ্কার করলে ২০০৮ সংসদ নির্বাচনের সময় মান্নান ভূঁইয়ার সাথে ভালো সর্ম্পক রাখেন নি তিনি।যার খেসারত দিতে হচ্ছে তাকে।

জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ২০০৮ সালের ধানের শীষ প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার দেশের বাহিরে থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।তবে একটি সূত্র জানায়, যেই বিএনপির জন্য তিনি এতকিছু করলেই সেই বিএনপিতে তার গুরুত্ব কমেগেছে এই বিয়ষটি দেরিতে হলেও তিনি বুঝতে পেরেছেন।