• বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন

শিবপুর উপজেলায় কৃষি অফিসের উদ্যোগে আলোক ফাঁদ স্থাপন

admin / ১২৩ Time View
Update : সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আলম খান :

শিবপুর উপজেলায় ব্রাক্ষন্দী ব্লকে আলোক ফাঁদ স্থাপন,খড়ক মারা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রমিজ উদ্দিন বলেন,কৃষকের জন্য আলোক ফাঁদ খুবই উপকারী,জমিতে কীটনাশক পরিমাণ খুব কম লাগে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের উক্ত ব্লকের দ্বায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, মোঃ সোহরাব হোসেন সোহাগ বলেন, আলোক ফাঁদ পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি, শিবপুর উপজেলা কৃষি অফিসারের মহোদয় স্যারে নির্দেশে এক যুগে আলোক ফাঁদ স্থাপন করা হয়, ধানের বিভিন্ন উপকারী অপকারী পোকা শনাক্ত করা যায়,শনাক্ত করণের মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, উৎপাদন ঠিক রেখে কৃষকের অপচয় রোধ করাই আমাদের কাম্য।এছাড়া ফসলি জমিতে অনিয়মিত ও মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের ফলে শত্রু পোকার পাশাপাশি মিত্র পোকাও ধ্বংস হচ্ছে। এতে ফসলি জমির পরিবেশ ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ছে। যা অদূর ভবিষ্যতে কৃষিক্ষেত্রের জন্য একটি বড় রকম বিপর্যয় হয়ে দেখা দিতে পারে। এ কারণেই ফসলি জমিতে পোকা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আলোর ফাঁদের গুরুত্ব অপরিসীম । কেবল প্রচলিত ধারণার উপর নির্ভর করে কীটনাশকের ব্যবহার থেকে কৃষককে দূরে রাখতে এ প্রযুক্তির ব্যবহার। উজ্জ্বল আলোতে আকৃষ্ট হয়ে ধানের মাজরা পোকার মথ, বাদামি গাছফড়িং, শিষকাটা লেদা পোকা, ধানের পাতা মোড়ানো পোকা, সবুজ পাতাফড়িং, চুঙ্গি পোকা, গলমাছি, গান্ধিপোকা, সাদা ফড়িং, পাটের বিছাপোকা, উড়চুঙ্গা, কালো শোষক পোকা, ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার মথ, শুঁয়া পোকাসহ বিভিন্ন ফসলের অনিষ্টকারী পোকা এসে ফাঁদে পড়ে মারা যায়। এ ধারাবাহিকতা অব্যহত থাকবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category