৩ মাসের অন্তঃসত্বা নাদিরা বেগম নামের এক গৃহবধূ গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।তবে নাদিরার পরিবার বলছে তাকে পরিকল্পনা করে হত্যা করা হয়েছে। নাদিরার ৮ মাসের একটি সন্তান রয়েছে। আর এই ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শনিবার রাতে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার বাঘাব ইউনিয়নের জয়মঙ্গল (সামান্তা) গ্রামে। আব্দুল হাইয়ের ছেলে শিপনের স্ত্রী ছিল নাদিরা বেগম (২০)।আজ রবিবার থানা পুলিশ নাদিরার লাশ উদ্ধার করেছে।এব্যাপারে শিবপুর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে শিপন মিয়া ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাতের কোনো এক সময় ঘরের আরার সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দেয় নাদিরা বেগম। রাতেই তার স্বামী শিপন মিয়া শাশুড়ীকে ফোন দিয়ে নাদিরার অসুস্থতার কথা বলে আসতে বলেন। সকালে নাদিরার মা ফাতেমা বেগম ঘরের মেঝেতে তার মেয়ের লাশ উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখে থানায় গিয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে দুপুর দুইটার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নাদিরার মা ফাতেমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, গত দুই বছর আগে প্রেম করে শিপন মিয়ার সঙ্গে নাদিরা বিয়ে হয়। ভালোই চলছিলো তাদের দাম্পত্য জীবন। তাদের সাত বছরের একটি কন্যা সন্তানও আছে। কিন্তু গত দুইমাস আগে থেকে যৌতুকের জন্য মারধর করতো। গত একসপ্তাহ আগেও বিশ হাজার টাকার জন্য আমার মেয়েকে মারধর করেছে। গতকাল শনিবার রাতে আমার মেয়ে ভয়েস মেসেজ পাঠিয়ে আমাকে ফোন দিতে বলে। আমি কাজে থাকায় রাত দশটার দিকে ফোন দিলে আর ফোন ধরেনি। সকালে এসে মৃত অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখি এবং আমার মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে এখন সবাই পালিয়ে গেছে।
শিবপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক কামরুজ্জামান বলেন, নাদিরার মা থানায় এসে খবর দিলে ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পাই। সুরতহাল প্রতিবেদন করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের গলায় ওড়না পেচানো ছিলো এবং গলায় দাগ ছিলো। এবিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।