নূরুদ্দীন দরজী
হ্যাঁ, আজ দুপুরে গুজের মাংস দিয়ে ভাত খেয়েছি। খেতে খেতে একটি মজার গল্প মনে পড়ে গেলো। গল্পটি পত্রিকায় পড়েছিলাম কয়েক বছর আগে। ইংরেজ আমল। আমরা তাদের উপনিবেশ। এক ম্যাজিস্ট্রেট খুব বেশি বেশি ঘুষ খাওয়ায় তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসী অভিযোগ দিয়েছিলো। অভিযোগের তদন্তে আসে তৎকালীন আরেক ইংরেজ ডিসি। ডিসি আসার পর অভিযুক্ত ম্যাজিস্ট্রেটের বাসায় তাকে ঘুজ দিয়ে আপ্যায়ন করানো হয়। মদাজার ঘুজের মাংস খেতে খেতে ডিসি জিজ্ঞেস করে, what’s this? উত্তরে বলা হয় ‘ঘুজের মাংস। ডিসি খুশি হয়ে বলে,ঘুজতো খেতে অনেক ইন্টারেস্ট! why this allegation ? অর্থাৎ ঘুজ খেতে অনেক স্বাদ। এটি খাওয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ কেন? সবাই হতবাক!
– ডিসির উচিত বিচার দেখার জন্য বাহিরে প্রচুর লোকজন অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। ঘর থেকে বের হয়ে সবার উদ্দেশ্যে ডিসি বলে” ঘুজ খাওয়া অনেক ভালো, আপনারা সবাই ঘুজ খাবেন। এ ছাড়া সঠিক বিচার না করে ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রমোশন দেওয়ার ঘোষনা দিয়ে তিনি চলে যান।
– পাঠকগণে বুঝতে হয়তো বাকি নেই যে,ইংরেজরা ঘুষের উচ্চারণ ঘুজ বুঝেছিলো। goose অর্থাৎ রাজ হংসের মাংস খেয়ে ঘুষ খাওয়ার প্রকাশ্য ঘোষনা দিয়ে এ দেশবাসীর উপর তাদের অত্যাচারের মাত্রা আর ও বৃদ্ধি করেছিলো। তারা কি কৌশলে শোষণ করতো এ গল্প তার সামান্য উদাহরণ।
সূত্রঃ রম্যলেখক প্রয়াত আতাউর রহমানের প্রবন্ধ “দূর্ণীতি বিষয়ে কিছু সাদাসিধে কথা,হতে।
লেখক: সাবেক উপজেলা শিক্ষা অফিসার।