আবু সালেক রিকাবদার
সাবেক শিবপুর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মরহুম নূরে আলম মোল্লার স্মরণসভা ও মিলাদ উপলক্ষে বিভিন্ন নেতাদের নিকট থেকে চাঁদা আদাই করে টাকা আত্নসাৎ করার অভিযোগে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে আবু সালেক রিকাবদারকে অবসারণ ও বিভিন্ন কু- রুচিপূ্র্ণ লেখা সহ পোষ্টার লাগিয়েছে একটি চক্র।একজন মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে রাতের আধারে এরকম লেখা সম্বলিত পোষ্টার লাগানোর ফলে তীব্র নিন্দার ঝড় বইছে শিবপুরে।তিনি এরকম ঘটনা ঘটিয়ে থাকলেও তার বিরুদ্ধে এরকম কাজ করা উচিত হয়নি বলে মনে করেন অনেকে।উপজেলা বিএনপির আভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে বলির শিকার হতে হচ্ছে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আবু সালে রিকাবদারকে এমনটিই মনে করছেন স্হানীয় বিএনপির কিছু নেতা কর্মীরা।
জানাগাছে, বিএনপি’র সাবেক চেয়ারপার্সন বেগম খালেদাজিয়া বিএনপি’র সাবেক মহাসচীব মরহুম আব্দুল মান্নান ভূঁইয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করার কারণে প্রায় চৌদ্দ বছর ধরে শিবপুর বিএনপি’র কোন্দল পিছু ছাড়ছে না।জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন, ক্ষমতা ও পদের জন্যই মূলত শত চেষ্টা করেও বিএনপি’র মধ্যে বিরজমান কোন্দলের কোন সমাধান করা যাচ্ছে না। বর্তমানে বিএনপিতে কোন্দল চরম আকার ধারণ করেছে।এক মান্নান ভূঁইয়ার বিপরীতে শিবপুরে এখন চার প্রভাবশালী নেতা রয়েছে।এদের মধ্যে রয়েছেন – বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য মো:আকারমুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সদস্য সচীব মনজুর এলাহী, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন মাষ্টার,উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হারিস রিকাবদার ওরফে কালা মিয়া স্যার।তবে প্রথম থেকেই মনজুর এলাহীকে সমর্থন করে আসছেন আবু সালেক রিকাবদার।এই কারনেও তার বিরুদ্ধে এরকম অপ-প্রচার চালানোর হতে পারে বলে ধারনা করছেন অনেকে।
এ ব্যাপারে যোগোযোগ করা হলে আবু সালেক রিকাবদার সূএ দৈনিক সকালের আলো’কে বলেন – তিনি এ রকম কাজ করতে পারেন না।তিনি একজন ভাল মানুষ।মূলত মনজুর এলাহীকে সমর্থন করার কারণেই তার বিরুদ্ধে একটি চক্র অপ- প্রচার চালাচ্ছে।