আ’লীগের প্রবীণ নেতা হারুন অর রশীদ খাঁন.
স্টাফ রিপোটার:
বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্যের সাথে বিরোধ সহ সম্প্রতি নরসিংদী জেলা আওয়ামীলীগের কমিটিতে প্রভাবশালী নেতা হারুন অর রশীদ খাঁনের নাম অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় শিবপুরে তিলে তিলে গড়ে তোলা রাজনৈতিক সাম্রাজ্য পতনের আশংকা করছেন স্হানীয় আওয়ামীলীগের নেতা ও কর্মীরা।ফলে শেষ বয়সে এসে বর্ণাঢ্য রাজনীতির পরিসমাপ্তও ঘটতে পারে শিবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও আ’লীগের মনোনীত বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হারুন অর রশীদ খাঁনের এমনটাই মনে করছেন অনেকে।তবে শিবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের আগামী সম্মেলনের পরেই সব কিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে মনে করেন কেউ কেউ।বর্তমানে তিনি আওয়ামীলীগের দলীয় কোন পদে নেই।
জানাগেছে, বাংলাদেশের রুপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহচর শিবপুর আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত সংসদ সদস্য মরহুম রবিউল আউয়াল কিরণ খাঁনের ছোট ভাই হলেন আলহাজ্ব হারুন অর রশীদ খাঁন।তাই কিরণ খাঁন নিহত হওয়ার পর শিবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের হাল ধরার চেষ্টা করেন তিনি।বঙ্গবন্ধুর আর্দশে বিশ্বাসী হারুন অর রশীদ খাঁন একপর্যায়ে শিবপুর উপজেলা আ’লীগের হাল ধরেন।একাধারে দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর শিবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।তবে দীর্ঘ সময় ধরে সভাপতির পদটি ধরে রাখতে পকেট কমিটির উপর নির্ভর করতেন বলে অভিযোগ ছিল হারুন অর রশীদ খাঁনের বিরুদ্ধে।লম্বা সময় ধরে সভাপতির দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দ্বিতীয় বার উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সুযোগে ধীরে ধীরে তিনি গড়ে তুলেছেন রাজনৈতিক সাম্রাজ্য।গ্রামের চৌকিদার থেকে শুরু করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পর্যন্ত ছিল হারুন অর রশীদ খাঁনের কব্জায়।নিজের কথার অবাধ্য হওয়ায় শিবপুর ছাড়তে বাধ্য হতে হয়েছিল এক শিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে। তবে ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর শিবপুর উপজেলা আ’লীগের পদ থেকে হারুন অর রশীদকে অব্যাহতি দেওয়ার পর নতুন ইউএনও হিসেবে যোগদান করা জিনিয়া জিন্নাত কে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি তিনি।। গত ২০২২ সালের ১৫ জানুয়ারী নতুন ইউএনও হিসেবে শিবপুরে যোগদান করেছেন জিনিয়া জিন্নাত।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্বে থাকায় বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম মোলাকে সবসময় থাকতে হয়েছে কোণঠাসা হয়ে ।আ’লীগের দলীয় পদ সহ সংসদ সদস্যের ক্ষমতা থাকা সত্বেও তাঁরা নিজেদের ক্ষমতার প্রভাব তেমন একটা বিস্তার করতে পারে নি শিবপুরে।
স্হানীয় আওয়ামীলীগের প্রবীণ কয়েকজন নেতাকর্মী শিবপুরের আলো ২৪ ডট কম’কে বলেন-আলহাজ্ব হারুন অর রশীদ খাঁন আওয়ামীলীগ পরিবারের একজন সদস্য।তিনি আ’লীগের জন্য অনেক কিছু করেছেন।তিনি শিবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন বলেই দলের ভিতরে কোন কোন্দল ছিল।হারুন অর রশীদ খাঁনকে যদি দল মূল্যায়ন না করে তাহলে তার প্রতি অবিচার করা হবে। তিনি যেহেতু দীর্ঘ সময় উপজেলা আ’লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন সেই হিসাবে তার একটা প্রভাব থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
তাঁরা আরোও বলেন, সম্প্রতি অনুমোদন পাওয়া নরসিংদী জেলা আ’লীগের কমিটিতে শিবপুরের বেশ কয়েকজন নেতার নাম স্হান পেয়েছে।অথচ একজন প্রভাবশালী নেতা আলহাজ্ব হারুন অর রশীদ খাঁনের মতো মানুষ ঐ কমিটিতে স্থান পায়নি।
উল্লেখ্য যে, উপজেলা আওয়ামী্লীগের সভাপতির পদ থেকে আলহাজ্ব হারুন অর রশীদ খাঁনকে অব্যাহতি দেওয়া পর সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম মোল্লাকেই এই জন্য দায়ী করেছিলেন তিনি।