আবুনাঈমরিপন, স্টাফ রিপোটার:
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব হারুন অর রশীদ খানকে গুলি হত্যাচেষ্টার পর অত্র নিয়ে পালিয়ে যেতে দুষ্কৃতিকারীদের সহযোগিতা করায় অস্র আইনের দায়ের করা মামলায় ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন উপজেলা আ’লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ।
গতকাল সোমবার (১৩/৩/২০২৩)সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একটি ডিভিশন বেঞ্চে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মোঃ আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে শুনানির পর ছয় সপ্তাহের মধ্যে ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনার আলোকে অভিযুক্ত আসাদুজ্জামান আসাদকে গ্রেফতার বা হয়রানি না করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করা হয়েছে।
জানাগেছে, গত ২৫ ফেব্রুয়ারী সকালে শিবপুর থানার পূর্ব পাশে অবস্থিত নিজ বাসায় ঢুকে উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ খানকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতিকারীরা। ঘটনায় দুই দিন পর ২৭ ফেব্রুয়ারী আহত চেয়ারম্যানের ছেলে আমিনুর রশিদ খান তাপশ (৩৮) বাদী হয়ে উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়নের কামারগাঁওয়ের আরিফ সরকারকে প্রধান আসামী করে শিবপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে।যার নং-১৭।
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৭ মার্চ ঢাকার মতিঝিল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মতিঝিল এলাকা থেকে আরিফ ও ফরহাদ কে গ্রেফতার করে।গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজতে থাকা দুইটি রিভলবার ও ছয় রাউন্ড গুলি উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের ঘটনায় ডিবি পুলিশের এসআই মো. মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে ঢাকার মতিঝিল থানায় গত ৭ মার্চ অস্ত্র আইনে আসাদুজ্জামান আসাদকে তিন নাম্বার আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলার বাকী ১ ও ২ নম্বর আসামি হলেন ফরহাদ ও আরিফ।
উল্লেখ্য যে,উপজেলা আ’লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ নিজেরর স্ত্রী নার্গিস বেগম কে হত্যা করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল।তখন শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব হারুন অর রশীদ খানের প্রচেষ্টায় আসাদুজ্জামান আসাদ জেল থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন।ম