শাহ মো: সজীব.
পবিত্র ঈদ উল আযহা-২০২৪ এর আগে আর মাত্র তিন দিন বাকি রয়েছে; শুক্রবার, শনিবার, রবিবার। এই তিন দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বেশিরভাগ ভাগ মানুষই এই তিন দিনে গরু/পশু কিনবে। জমজমাট হচ্ছে পশুর হাটগুলো। শিবপুর উপজেলায় এবছর মোট ১৮ টি পশুর হাট নির্ধারিত দিনে বসবে। এতে ক্রেতা, বিক্রেতারা আসবেন। পশু কেনা, বেঁচা, বহনকে কেন্দ্র করে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
ক) জাল টাকা লেনদেন চক্র সক্রিয় হতে পারে। টাকা ভাল করে দেখে বুঝে নিতে হবে।
খ) ছিনতাই এর সাথে জড়িত দলগুলো সুযোগের অপেক্ষা করতে পারে। সতর্ক থাকা উচিত। একা না চলা উত্তম।
গ) হাট সংশ্লিষ্ট এলাকায় রাস্তায় জ্যাম হতে পারে। তাই ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে। রাস্তায় কোনভাবেই গাড়ী/ট্রাক রাখা যাবে না।
ঘ) ট্রাক/গাড়ীর সামনে কাঁচের এক কোনায় ড্রাইভারের মোবাইল নম্বর লিখে সাটিয়ে রাখতে হবে। যাতে প্রয়োজন হলে ফোন দেয়া যায়।
ঙ) টাকা ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে যেতে পারে। তাই ভাল করে টাকা রাখতে হবে। বাচ্চা বা দায়িত্বহীন লোকের কাছে টাকা রাখা যাবে না।
চ) বিভিন্ন হাটে এবছর বেশ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়েছে। তাদের কথা মেনে চলতে হবে।
ছ) সঠিকভাবে হাসিল পরিশোধ করতে হবে।
জ) হাটে যাদের কোন কাজ নেই তাদের না যাওয়াই উত্তম। এতে অযথা ভীড় এড়িয়ে প্রয়োজনকে স্বস্তি দেয়া যায়।
ঝ) ভেলানগর থেকে মরজাল পর্যন্ত ঢাকা সিলেট হাইওয়েতে কোন গরু লোড আনলোড করা যাবে না।
ঞ) হাটে বাচ্চাদের না আনাই উত্তম। হারিয়ে যেতে পারে। বা গরমে অন্য জটিলতা বাড়তে পারে।
ট) পশুবহনকারী ট্রাক চালকগন সাবধানে গাড়ী চালাবেন। কারণ রাস্তায় ঘরে ফেরা মানুষেরও চাপ রয়েছে।
ঠ) পশুর বেপারী, যানবাহন চালক, ক্রেতা, ইজারাদার, আদায়কারী কারো সাথেই কেউ খারাপ আচরণ করতে পারবে
না। সবাইকে ধৈর্যশীলতার পরিচয় দিতে হবে।
ড) ধারণ ক্ষমতার বাইরে পশু বা অন্য পণ্য ট্রাকে নেয়া যাবে
না। নদী পথে পশু বহন করলেও সতর্ক থাকতে হবে।
ঢ) কিছু কিছু হাটে গাড়ী পার্কিং এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেখানে যেতে হবে। পুটিয়া হাটে পার্কিং এর ব্যাপক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।ণ) পশুহাটের আশে পাশে যাদের বাড়ি পারলে হাট আসা মানুষকে সহযোগিতা করবেন। অযথা ঝামেলা তৈয়ার করবেন না। পবিত্র এই ঈদ উৎসব পালনে সহযোগিতা করুন। সহমর্মি হোন। ত) অনুমতি ব্যতীত হাট বসাবেন না। বসালে বন্ধ করে দেয়া হবে।থ) পশু ক্রয় করার পর বাড়ি এনে তার নানা যত্ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে) কুরবানির পর চামড়া নিয়মমাফিক সংরক্ষণ করতে হবে। কোনভাবেই জাতীয় সম্পদ নষ্ট করা যাবে না।
পশুর হাটের নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা, স্বস্তি, শান্তি নিশ্চিত করতে সকলকে কাজ করতে হবে। প্রশাসন, পুলিশ, ইউপি চেয়ারম্যান, জনপ্রতিনিধিগন, গ্রাম পুলিশ সজাগ রয়েছেন। আমরা সকলের সহযোগিতা চাই। কোন সুরক্ষা প্রয়োজন হলে ৯৯৯ এ কল দেয়া যেতে পারে। আশা করি, ঈদ উৎসবের সকল কর্মকান্ড হবে নিরাপদ।
লেখক : উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, শিবপুর।