ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি থেকে বই সংগ্রহ করছেন সদস্যরা.
স্কুল ও কলেজের ছাত্র/ছাত্রীদের বই পড়ায় আগ্রহ বাড়াতে কয়েকজন শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্ঠায় প্রতিষ্ঠা করা শিবপুরের পাঠ্যাভ্যাস চর্চা কেন্দ্রটি এখন ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরিতে রুপান্তির হয়েছে।ফলে এর প্রতিষ্ঠাতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ফোরকান আফ্রাদ তাদের চেষ্টা সফল হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।বই পড়ুয়া মানুষের অভাবে শিবপুরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের উওর পশ্চিম পাশে অবস্হিত সরকারী পাবলিক লাইব্রেরি বন্দ করে দেওয়া হলেও শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যোগে প্রতিষ্ঠা করা পাঠ্যাভ্যাস চর্চা কেন্দ্রটি সফল বলে মনে করেন স্হানীয় শিক্ষাঅনুরাগীরা।
জানাগেছে, শিবপুরে সন্তান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ফোরকান আফ্রাদ শিবপুরের মানুষের জন্য কিছু করতে ইচ্ছে অনুভব করেন ।তারপর অনেক চিন্তা- ভাবনা করে দেখলেন শিবপুরে একটি পাবলিক লাইব্রেরির প্রয়োজন।কিন্তু তার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়।ফলে বিষয়টি নিয়ে নিজের কয়েকজন সহকর্মীর সাথে আলোচনা করেন তিনি।সর্বশেষ আলোচনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ছাত্র মোহাম্মদ উল্লাহ,পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ফোরকা আফ্রাদ, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ছাত্রী নিশাত লায়লা,বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ( বুয়েট)
কেমিকেল ইন্জিংনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র নাজমুল আলম মাহিন,চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র স্বাগত দাস পার্থ সর্বসম্মতিক্রমে শিবপুরে পাঠ্যাভ্যাস চর্চা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।সেই মোতাবেক ২০২০ সালের ১লা জুলাই চালু করা হয় শিবপুর পাঠ্যাভ্যাস চর্চা কেন্দ্র।এরপর ভার্চুয়াল লাইব্রেরি স্হাপন করে বই বিতরণ শুরু করা হয়।এক পর্যায়ে ২০২১ সালে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে’র ভ্রাম্যমান লাইব্রেরি কর্মসূর্চীর সাথে যুক্ত হয় ভার্চুয়াল লাইব্রেরি। বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা ৩২ জন।এই ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি থেকে প্রতি শনিবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে সাড়ে এগারটা পর্যন্ত বিনামূল্যে বই ধার দেওয়া হয়।বর্তমান সময়ে হুমায়ুন আহম্মেদ ও মুহাম্মদ জাফর ইকবালের বই গুলি পড়তে বেশি পছন্দ করে পাঠকরা।তবে যারা পুরানো পাঠক তারা শরৎ,বিভূতি ও মানিকের লেখা পড়তে পছন্দ করে বেশি।
ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির কয়েকজন সদস্য দৈনিক সকালের আলোকে বলেন- আমাদেরকে বই পড়ার সৃযোগ করে দেওয়ায় আমরা প্রতিষ্ঠাতাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে পাঠ্যাভ্যাস চর্চা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ফোরকান আফ্রাদ দৈনিক সকালের আলোকে বলেন—শিবপুরকে মননশীল,আধুনিক ও জ্ঞানভিওিক জনপদ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমার কাছে সবচেয়ে ভালো উপায় মনে হয়েছে বই পড়া কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা। আর আমি ব্যক্তিগত ভাবে অনেক বই পড়ার মানুষ।শিবপুরে কেন একটি পাবলিক লাইব্রেরি নেই, এই প্রশ্নের উওর খুঁজে পেতাম না।তারপর জানতে পারলাম শিবপুরে একটি পাবলিক লাইব্রেরি আছে। কিন্তু সেটা বন্ধ।তাই ভাবলাম নিজেরাই একটি লাইব্রেরি চালু করে মানুষকে বই পড়ার সৃযোগ করে দেই।মূলত সেই কারণেই পাঠ্যাভ্যাস চর্চা কেন্দ্রটি চালু করা হয়।আমরা এখনো আশাবাদী শিবপুরে একটি পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করতে পারবো।সেই জন্য ইতিমধ্যে স্হানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন সাহেবের সাথে আলোচনা করা হয়েছে।তিনি সকল প্রকার সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।