আবুনাঈনরিপন:
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের মিজাকানদী গ্রামের পিতামৃতঃ হামিদ মিয়ার ছেলে সহিদ মিয়া র্দীঘদিন যাবত মালয়েশিয়া থাকে। এই যুবক মোবাইলে যোগাযোগ করে বেশ কয়েকটি মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে।তার মধ্যে বিউটি নামের এক মেয়ে সহিদ মিয়ার বিরুদ্ধে শিবপুর মডেল থানায় এ ব্যাপারে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন ।ছদ্মনাম (বিউটি)’র বাড়ী দুলালপুর খালপাড় গ্রামে।
লিখিত বিবরনে জানা যায়,সহিদ মিয়া গত ২৩/৯/২১ইং তারিখ দুই লাখ টাকা কাবিনের মাধ্যমে মোবাইলে বিয়ে করে দুলালপুর খাল পাড়ের ছদ্মনাম (বিউটি) কে। এ সময় ৫০/৬০ জন বরযাত্রী নিয়ে ছেলের আত্মীয়স্বজনরা মেয়ের বাড়ীতে উপস্হিত ছিল। দুলালপুর ইউনিয়নের কাজি মোবাইলে বিয়ে পড়ান এবং উকিল, সাক্ষী ও মেয়ের স্বাক্ষর গ্রহণ করেন। ছেলে বিদেশে থাকায় বরের স্বাক্ষর পরে নেয়া হবে এমনটাই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এই মেয়েকে বিয়ের আগে সহিদ অন্য আরেকটি মেয়েকে বিয়ে করে দেড় বছর ঘর সংসার করার পর তাকে ছেড়ে দেয়।
গত কয়েকদিন আগে সহিদ মিয়া মালয়েশিয়া থেকে বাড়ি আসে। মোবাইলে বিয়ে করা মেয়েকে ডিভোর্স
না দিয়ে অন্য আরেকটি মেয়েকে বিয়ে করে সহিদ মিয়া।
এ ব্যাপারে সহিদ মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বাড়ীর লোকজন এই মেয়েকে পছন্দ করে না।তাই আমি এ মেয়েকে ঘরে উঠাতে চাই না।ঘটনাটি এলাকায় রটে গেলে এলাকাবাসী গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার এর বাড়িতে
শালিসি বিচার বসলে সহিদ মিয়া ৭০/৮০ জনের একটি দল নিয়ে আসে। আলোচনার সময় সহিদ মিয়া মেয়েকে না নেওয়ার কথা বলে সেখান থেকে সটকে পড়ে। বিয়ের বিষয়টি
ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন কৌশলে গা-ঢাকা দিয়ে আছে।
মেয়েটিকে সামাজিক ভাবে হেয় করে তার সাথে কোন সুরাহা না করে অন্য আরেকটি মেয়েকে বিয়ে করে বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে সহিদ মিয়া।
আবার সে বিদেশে পাড়ি জমাতে পারে যে কোন সময়।
অসহায় মেয়ের পরিবার বিচারের আসায় দ্বারে দ্বারে
ঘুরে বেড়াচ্ছ। অসহায় মেয়েটির পরিবার সামাজিক ভাবে বিচার না পেয়ে আদালতে মামলা করার চেষ্টা করছেন বলে জানান, মেয়িটির বাবা।