বেলাল আহমেদ :::
পদ পেলে এবং সম্মানিত হলে কার না ভাল লাগে।আমার দেখা এমন একজন জ্ঞানীগুণী , সহজ সরল মানুষ যাকে বলা যায় সাদা মনের মানুষ তিনি আর কেউ নন,প্র.ড.শেখ আবুল হোসেন হানিফ। তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও সাহিত্য সংগঠনের সাথে জড়িত।একটি মজার ব্যাপার হলো তার, বাবা এবং বড় ভাই যখন পদ পদবী নিয়ে আওয়ামী লীগের দূর্দিনে নিজ এলাকা নবীনগর,রছু্ল্লাবাদ ইউনিয়নে রাজনীতি করতেন তখন ১৯৮৫ সালে উনার রাজনীতির হাতেখড়ি।বয়সে কম হলেও নৌকার ভোট চাওয়া,ভোটারলিষ্ট ঘরে ঘরে পৌছে দেওয়া, টেবিল নিয়ে বসে ভোটারলিষ্ট সবার হাতে পৌছে দেওয়া,মিছিল মিটিং শ্লোগান তোলা ছিল উনার কাজ, পদ পদবী নিয়ে কখনও মাথা ঘামাতেন না। তারপর ১৯৮৫/৮৬ দিকে এরশাদ সাহেবকে না ভোট দিয়ে মাধ্যমিক ক্লাসের টিচার্সদের নজরে আসেন।মিছিল মিটিংএ মনোযোগ থাকলেও ক্লাস ওয়ান থেকে দশমশ্রেণী পর্যন্ত ৫ এর নীচে কখনও রোল আসেনি।তিনি অষ্টম শেণ্রীতে মেধা তালিকায় বৃত্তি পান। ১৯৮৯ যখন ক্লাস টেন তার রোল নম্বর ছিল এক।তখনও স্কুল রাজনীতিতে পিছু হটে যান নি,ছাত্রদের অধিকার আদায়ে স্কুলে হরতাল দিয়ে বসে।তখনই উনার বড়ভাই এবং বাবা বুঝতে পারে, এই ছেলেকে নবীনগর কলেজে ভর্তি করলে সে ভাল রেজাল্ট করতে পারবে না,তাই তাকে ঢাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়,তিনি বিভিন্ন কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশুনার সময়ে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন সহ অনেক আন্দোলনে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন।অবশেষে জগন্নাথবিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম,সি প্রথম শ্রেণীতে পাস করে হাজী আবদুল মান্নান ডিগ্রি কলেজে অধ্যাপনা করেন।দীর্ঘ দিন পর সামাজিক কাজ করার নেশা চেপে বসে তাই সামাজিক অনেক সংগঠনের সাথে জড়িত হয়ে পড়েন।কারণ তিনি মনে করেন সমাজের সেবা না করতে পারলে রাজনীতি করে কি লাভ?পরিবেশের ভালবাসা থেকে তিনি পরিবেশের উপর ডক্টরিট ডিগ্রি লাভ করেন।এগুলোর পাশাপাশি ব্যবসা করেন। উনি ২০০৩ সালে মাধবদী শহর আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হন পরবর্তী তে আবার ২০১৪ সালে পুনরায় শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক হন।উনি কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ছিলেন মোতাহার ভাই যখন সভাপতি ছিল।উনার আগামীতে ডি,লিট ডিগ্রী নেওয়ার চিন্তা ভাবনা আছে।এই সবকিছু যাচাই, বাছাই করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বন ও পরিবেশ উপ কমিটির সদস্য মনোনীত করায় এলাকাবাসী এবং আমরা বন্ধুবান্ধব অনেক খুশি।আগামী দিনগুলোতে তিনি যেন তার প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের সেবা করতে পারেন,এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।