আলো রিপোর্ট:
নরসিংদীর জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য, শিবপুর আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন ও নরসিংদী জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি, শিবপুর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম মোল্লার ফোনালাপ ফাসে শিবপুর আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা নড়েচড়ে বসেছে।বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব হারুন অর রশীদ খাঁনকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দিতে বর্তমান ও সাবেক এমপি যে ষড়যন্ত্র করেছিলেন এই ফোনালাপই তার প্রমান করে এমনটাই মনে করছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। এই ফোনালাপটি গত সংসদ নির্বাচনের আগের বলে ধারণা করছেন অনেকে।তবে ফোনালাপটি কবের তা এখনো সঠিকভাবে জানাযায়নি।
জানাগেছে, আজ শুক্রবার হঠাৎ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বর্তমান ও সাবেক এমপির ফোনালাপ প্রকাশ করা হলে অল্প সময়ের মধ্যেই ফোনালাপটি ভাইরাল হয়ে যায়। সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ফোনালাপে জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহনকে উপজেলা আওয়ামীলীগের পুর্নাঙ্গ কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে আহবায়ক কমিটি গঠনের জন্য প্রস্তাব দেন।সেই প্রস্তাবে প্রথমে রাজি না হলেও পরে জহিরুল হক ভূঁইয়া রাজি হয়ে যান।ফোন আলাপের একপর্যায়ে সিরাজুল ইসলাম মোল্লা বলেন হারুন খাঁন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মাধ্যমে ৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।প্রতিউত্তরের জহিরুল হক ভূ্ঁইয়া মোহন বলেন এই টাকা ত আপনার প্রাইম ব্যাংকেই রেখেছে হারুন খাঁন।
ধারনা করা হচ্ছে ফোনালাপের সময়ে নরসিংদী জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন।উপজেলা আওয়ামীলীগের পুর্নাঙ্গ কমিটি বাতিল করে আহবায়ক কমিটি গঠন করতে জেলা কমিটির সুপারিশ লাগে।সেই জন্যই জেলার বিষয়টি দেখার জন্য জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন কে অনুরোধ করেছি্লেন সাবেক এমপি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা।
সেই সময়ে কমিটি বাতিল করতে না পারলেও ২০২১ সালের ৬ নভেম্বর উপজেলা আওয়ামীলের সভাপতির পদ থেকে আলহাজ্ব হারুন অর রশীদ খাঁনকে অব্যাহতি দিতে সফল হয়েছিল বর্তমান ও সাবেক এমপির নীল নকশা।ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জন্য চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন দিতে অনিয়মের অভিযোগে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির পদ থেকে হারুন অর রশীদ খাঁন কে অব্যাহতি দেয় জেলা কমিটি।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা আওয়ামীলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী শিবপুরের আলো ২৪ ডট কম কে বলেন – আওয়ামীলীগের রাজনীতির কথা কি বলবো।রাজনীতে কে কার আপন বা পর তা বুঝা অসম্ভব।মোহন সাহেব হারুন খাঁনের মামা।অপরদিকে হারুন খাঁনের সাথে সিরাজুল ইসলাম মোল্লার সর্ম্পকও ভালো। অথচ আজকে ফাস হওয়া ফোনালাপে আমরা কি শুনলাম। এটা কি আমরা কখনো আশা করেছিলাম।মোহন সাহেব বলেছেন শিবপুরে আওয়ামীলীগে চোর ও বার্টপারে ভরে গেছে