হাবিবুর রহমান মাস্টার:
শিবপুরের কালুয়ার কান্দা, শুকুন্দী ও খড়িয়া গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বিলের নাম ই গড়িয়া বিল। বিভিন্ন প্রজাতির মাছের আবাসন স্হান হিসেবে গড়িয়া বিলের নাম অতীত হতে আজও বিদ্যমান রয়েছে। তবে শীত কালে বিলের পানি কমে যাবার ফলে মাছের পরিমান হ্রাস পায় ও বিলের কাঁদা মাটি বোরোধান আবাদের পূর্ণ উপযোগী হয়। তাই তো প্রতি বছর ই এ ঋতুতে এলাকার কৃষকেরা এ বিলে বোরো ধানের আবাদ করে থাকে। উক্ত আবাদি জমিতে বাম্পার ফলনের কারণে কৃষক কুলে ফুটে উঠে আনন্দের হাসি।
বিলের পূর্ব পাশে যুগযুগান্তরের পুরনো বৃহৎ বটগাছ টি প্রায় ৫০বছর পূর্বে বিলীন হয়ে গেলে ও কালের আবহমান বৈচিত্র্যের রোমন্থনে এলাকাবাসী তথা দূরদূরান্তের মানুষের মাঝে জনশ্রুতি আছে গড়িয়া বিলের “বট গাছের পাড়”। বিলের পূর্ব পাশ দিয়ে চলে যাওয়া রাস্তার পাশে সরকারি খাসজমিতে গাছটির অবস্থান ছিল। সম্ভবত খাস জমি থাকার কারণে বট গাছের অবস্থানের জায়গাটুকু বর্তমানে একটি টিলায় রূপান্তরিত হয়ে দৃশ্যমান রয়েছে এবং ইহার পাশে অন্যান্য গাছের অবস্থান থাকায় বিলের আশেপাশের শ্রমজীবি মানুষ,পথচারী ও আবাল বৃদ্ধ বনিতা উক্ত স্থানটি বিশ্রামাগার হিসেবে ব্যবহার করে আসছে।
তাইতো বট গাছের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেলে ও সবাই এ স্থানটিকে নামকরণ চিহ্নিত করে আসছেন ” গড়িয়া বিলের বট গাছের পাড় “।