দুষ্কৃতকারী
ছাব্বির ভূইয়া
সায়াহ্নে অস্ত গেলো প্রভাকর,
ধেয়ে আসছে নিশ্চলতা প্রস্থিত হবে নীড়।
কর্ম বিঘ্নিত এড়িলোনা আর বেলা হলো ধীর,
ফিরবে কখন গৃহপথে তাইতো হলো অধীর।
ফুরিলো যজ্ঞ ফিরিবে বাড়ি বিষন্নতা হলো ঠায়,হর্ষ পার্থিব যাচ্ছেনা কাল যাবে গৃহদায়।
নারীর তরে ফিরছে ক্রোড়ে নিঃশেষ হলো ক্লেশ,
সদ্য নবজাত কহিলো বাবা, তৈজস আনিবে বেশ।
হর্ষচিত্তে সকলি লইলো হস্ত গিয়েছে পুরে,
রাজপুত্র তার ভোগ করিবে উদর পুরো ভরে।
ফিরছে যতো বাড়ছে ততো সহস্র আকুলতা,
স্নেহের তরে লভিবে ম্লান সকলি প্রসন্নতা।
ততোক্ষণে সাঝঁ পেড়িয়ে তমসা হলো নিশি,
মাঝ নিশিতে যান চড়িয়া হিমেল সমীরে ভাসি।
গহীন অরণ্যে পশিল গাড়ি ললাট হলো ভাজ,
প্রহর ঘনিয়ে ক্ষণ জীবনে নামিলো সূর্যাস্তের সাঁঝ।
অর্থ কাড়িলো, শখ ছিলিলো প্রাণ দিয়েছে সপে,
নিঃশেষ হলো সোনার স্বপন টোটা ধরিলো চেপে।
প্রাত হইলো বিভাকর উদিলো প্রাণ হারালো পিতা,
বিধবা হইলো হারাধনের মা সংসার হইলো চিতা।
বাবা হারালো হারাধন আজ, মা হেরিলো স্বামী,
অন্য যোগাবার কেউ নেই তাদের রয়েছে অন্তর্যামী।
হনন কারি চষে বেড়ায় বাকরূদ্ধ সমাজ,
নীতিহীনরা সমাজপতি করছে লুটতরাজ।