বিভক্ত আমি
এম আর হারুন
বয়সের ভারে নুব্জ হয়ে ভোরের শিশির ভেজা
ঘাঁসফুল মাড়িয়ে পার্কের বটবৃক্ষের ছায়াতলে
একটু বিশ্রাম নিচ্ছি,
হাতের ছঁড়িটিও ভেঙ্গেছে দু’বার,
সুঁতায় পেঁচিয়ে কোনোভাবে চলছি,
ভাঙ্গা ঘোলাটে চশমাটাও অচল হয়ে পড়েছে
অথচ আমার জন্মে সন্তানেরা
আমাকে নিয়েই ভাগাভাগি করছে,
আজ এ বাড়ি দু’মুঠো ভাত জুটে
কাল ও বাড়িতে,
সন্তানদের মানুষ করতে জীবনের শখ আহলাদ
কি তা কখনো উপলব্ধি করিনি,
কখনো দামী একটি সার্ট কিংবা জুতা পড়িনি
একদিন সন্তানেরা মানুষ হলে হয়তো
আমার জীবনে অনেক সুখ আসবে,
নাহ, তা আর হলো না।
দু’টানায় পরে মাঝে মধ্যে মনে হয়
অযাচিত এ জগত সংসার ছেড়ে চলে যাই
কিন্তু বিধাতা আমাকে ডাকছে না,
বিভক্ত আমি পৃথিবীর বুকে
ছেঁড়া জামা, ভাঙ্গা চশমা আর ভাঙ্গা ছঁড়িটি
যেনো কারো চোখে পড়েনা,
ওরা সকাল সন্ধা অফিস শেষে এসে
আমার কোনো খোঁজ নেয়না,
আমি কি খেলাম, না খেলাম,তাও না,
পৃথিবীর মায়াটা বড্ড অসহায় মনে হয়
কি জানি কতকাল আমাকে দু’প্রান্তের বকুনি
শুনতে হবে নির্লজ্জের মতো,
গায়ে তেমন শক্তি পাইনা, তাহলে হয়তো
একটা ছোটখাটো চাকুরীর খোঁজ নিয়ে
নিজের জীবনটাকে উৎস্বর্গ করে নিতাম।
মায়াবী এই সংসারে আমি কি একাই বিভক্ত
নাকি আমার মত অনেকেই মায়া মমতা থেকে
বঞ্চিত রয়েছে পরিবার পরিজন থেকে,
তার হিসাবটা মিলাতে পারছিনা।
কোথায় জগতের মানবতা, একটু খোঁজও নেই
কোথায় বুকের ভিতর লুকানো শান্তি
দিশেহারা হয়ে খুঁজেও পাচ্ছি না,
হয়তো একদিন আমিও চলে যাবো
এ জগৎ সংসারের সকল মায়া ত্যাগ করে,
এখন শুধু তারই অপেক্ষায়।
মোঃ হাবিবুর রহমান মাষ্টার অবঃ
যখন ছিলাম ভবে
মোঃ হাবিবুর রহমান মাষ্টার অবঃ
প্রতি নিশ্বাসে জীবন যাপন থেকে
সময় হচ্ছে বিলীন
আয়ু প্রদীপ ক্ষীণ হচ্ছে
ক্রমান্বয়ে প্রতি দিন।
এ ভূবণে আগমন দিনক্ষণ
রয়েছে হিসেবের খাতায়
কখন চলে যাব বিদায় নিয়ে
ওই দিনক্ষণ অজ্ঞাত ধরায়।
সময় হলে চলে যেতে হবে
চির নিলয় ঘরে
সমাহিত করে সবে যাবে ফিরে
বেধেছিল যারা প্রীতি ডোরে।
এবার কবর গৃহে আমলনামার
হিসেবের সূচনা হবে
লভেছি কি, কর্মশালায়
যখন ছিলাম ভবে।
সম্পাদনায়:: রবিউল হাসান, বিভাগীয় সহকারী সম্পাদক, সাহিত্য পাতা, মোবাইল : 01716719477