সদাই বাবুর জীবন
মোঃ মনিরুজ্জামান মোল্লা।
সদাই বাবুর এক ঘোড়া আছে,
কান দূ’টি তার খাঁড়া।
পাড়া পরশি উঠলে তাতে,
সে দৌঁড়ে গিয়ে পালায়।
মাঝে মধ্যে গন্জে গিয়ে আনে ঘোড়ার খাবার,
সাধের ঘোড়ার লাগাম ধরে,
সদাই বাবু চালায়।
ঘোড়াটা তার মস্ত বড়ো
অনেক হবে দাম,
দিন কাটে তার ঘোড়ার পিছে,
আর করে নাহি কোন কাম।
ছেলে মেয়ে উপোস করে
ঘোড়ার গাড়ি টেনে,
সদাই বাবুর দন্য দশায়
পরিবারটা মরে।
সদাই বাবু চালায় ঘোড়া
নিজের প্রয়োজনে,
আবার যখন ঘোড়া লাগে,
বরের আয়োজনে।
পালকির মতো ঘোড়ার গাড়ি,
বানায় চমৎকার,
এবার বাবু চালায় গাড়ী যাত্রীদের সেবায়,
দ্বিগ্বিবিদীক চালিয়ে গাড়ি,
ভাড়ায় খাটায় জান।
সদাই বাবুর বাড়তে থাকে পারিবারিক মান।
টাকা পয়সা কামাই করে
রুজি রোজগার ভালো,
সদাই বাবুর ঘরে আসে
সুখ পাখিটার আলো।
সদাই বাবুর হিসেব মিলে
ঘোড়ার গাড়ির টানে,
তেল লাগেনা,গ্যাস লাগেনা শুধুই টাকা আনে।
একটি নয়, দুটি নয় সে নয়টি ঘোড়া আনে,
সদাই বাবুর টাকার
কথা এখন সবাই জানে।
জাত বেজাতের দমন পীড়ন হইতো সদাই বাবুু,
টাকা পয়সার মালিক হওয়ায় এখন সবাই কাবু,
এবার একটা চমক দেখায় সদাই বাবুর ঘরে,
প্রাইভেট কার কিনে ফেলে
টাকা খরচ করে।
এইযে উঠা শুরু করলো সদাই বাবুর জীবন,
পিছন ফিরে দেখলো না আর,
সদাই বাবুর পরাণ।
মানুষ যখন কর্ম করে জীবন গড়তে চায়,
হোঁচট খেয়েও একদিন সে সুখটা ফিরে পায়।
কবির আরতি সকল মানুষ বাঁচো কর্ম করে,
একদিন পেয়ে যাবে তোমার,
শ্রমের কল্যাণ ভরে।