নিজস্ব সংবাদাতা:
দুইবারের নির্বাচিত সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও পচিশ বছর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করা মরহুম আলহাজ্ব হারুনুর রশীদ খাঁন মৃত্যুর পরে দুই এমপির চোখে তিনি এখন ভালো মানুষ ।অথচ জীবিত অবস্থায় হারুনুর রশীদ খাঁন কে দলীয় পদ থেকে সরাতে বর্তমান সংসদ সদস্য জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন ও সাবেক সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা যৌথ ভাবে ষড়যন্ত্র করেছেন বলে মনে করেন হারুনুর রশীদ থাঁনের সর্মথকরা।যার প্রমাণ কিছু দিন পূর্বে ফাঁস হওয়া ফোনালাপেই প্রকাশ পেয়েছে।নিজেদের স্বার্থে দুই এমপি হারুনুর রশীদ খাঁনকে ব্যবহার করেছিলেন বলেও মনে করেন কেউ কেউ।
জানাগেছে, ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারী উপজেলার পুটিয়া, আয়ুবপুর, যশোর, দুলালপুর,জয়নগর,বাঘাব,সাধারচর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আদালতে পৌরসভার সীমানা নির্ধারণসংক্রান্ত মামলা থাকায় ততকালীন সময়ে শিবপুর পৌরসভা, মাছিমপুর ও চক্রধা ইউনিয়নের নির্বাচন হয়নি। সেই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দিতে অনিয়মের অভিযোগ সহ অন্যান্য কারণে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল হারুনুর রশীদ খাঁনকে। আর জীবনের শেষ সময়ে দলীয় পদ থেকে সরাতে এই দুই এমপির অবদান ছিল সবচেয়ে বেশি।যা হারুনুর রশীদ খাঁন নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছিলেন তাদের বিরুদ্ধে।
তৃণমূল কর্মী আব্দুল কাদির, জব্বার ও কামাল হোসেন শিবপুরের আলো ২৪ ডট কম’কে বলেন —-হারুনুর রশীদ খাঁন শিবপুর আওয়াসীলীগের একজন দক্ষ অভিভাবক ছিলেন।কিন্তু পর্দার অন্তরালে থাকা ষড়যন্ত্রকারীদের জন্যই হারুনুর রশীদ খাঁনকে মৃত্যু বরণ করতে হয়েছে।বর্ষীয়ান এই নেতা মৃত্যুর পরে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্মরণ সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছিল।যেখানে বর্তমান সংসদ সদস্য জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন ও সাবেক সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা উপস্থিত থেকে বক্তব্য রেখেছেন।তাদের বক্তব্য শুনে মনে হয়েছে হারুনুর রশীদ খাঁন একজন ওলি।কিন্তু মৃত্যুর পূর্বে দুই এমপির ভূমিকা সর্ম্পকে সবারই জানা আছে।তারা অনেক ভালো অভিনয় করতে পারে।
শিবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের একজন প্রভাবশালী নেতা শিবপুরের আলো ২৪ ডট কম’কে বলেন — হারুনুর রশীদ খাঁন গত ২৫ ফেব্রুয়ারী গুলিবিদ্ধ হয়ে ৩১ মে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন।গুলিবিদ্ধ হওয়ার আগে ও পরে জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন ও সিরাজুল ইসলাম মোল্লার কি ভুমিকা ছিল তা আমরা জানি। সময় মতো তারা তাদের কর্মের জবাব পাবে।