বশির আহমেদ, বিশেষ প্রতিনিধি:
লাইলাতুল কদরের রাত একজন মুসলমানের জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ রাত।এ রাতের ফজিলত অনেক। বান্ধা রাতভর ইবাদত করে মালিকের সন্তুুষ্টি অর্জন করে উপহার নিবে এটাই একজন মুসলমানের চাওয়া পাওয়া।কিন্তু সেই কাজটি শান্তিতে করতে দেয় নি শিবপুর বিদ্যুৎ অফিস। তীব্র গরমে সারাদিন রোজা রাখার পর নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২ শিবপুর শাথার পক্ষ থেকে বিশেষ এই রাতের উপহার হিসেবে সারারাত বিদ্যুতের দেখা মিলেনি শিবপুর বাসীর। এমন অভিযোগ ছিল অনেক গ্রাহকের।শিবপুর সদর এলাকায় বিদ্যুতের দেখা পাওয়া গেলেও উপজেলা সদরের বাহিরে চিত্র ছিল ভিন্ন। অনেক এলাকায় ছিল না বিদ্যুৎ।ফলে প্রচন্ড গরমে দিশেহারা ছিল এলাকার জনগণ।
শিবপুর উপজেলার বাঘাব ইউনিয়নের বাঘাব গ্রামের আব্দুল লতিফ শিবপুরের আলো ২৪ ডট কম’কে বলেন— আমরা জাতি হিসেবে বড়ই দুর্ভাগ্য জাতি।রমজান মাস হচ্ছে মুসলমানদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ মাস।রমজান শুরু হওয়ার প্রথম থেকে আমরা সেহরি,ইফতার ও তারাবির নামাজের সময় বিদ্যুৎ পাইনি।গতকাল রাত ছিল শবে কদরের রাত। ইফতারের সময় যে বিদ্যুৎ গেছে আর আসার কোন খবর ছিল না রাতে।রাত দশ টা বেজে ৩৪ মিনেটে বিদ্যুৎ একবার হাজিরা দিয়েছিল । মাত্র ১১ মিনিট স্হায়ী ছিল বিদ্যুৎ (১০:৩৪ পিএম টু ১০:৪৫ পিএম)।তারপর কখন বিদ্যুৎ এসেছে টের পাইনি।অথচ আমরা দেখেছি এলাকায় বিভিন্ন খেলা বা গানের আসর হলে বিদ্যুৎ যাওয়ার কোন খবরই থাকে না।