শেখ মানিক:
নরসিংদীর শিবপুরে সাইফুল ইসলাম (৪৫) নামের একজনের দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে হত্যার মূল আসামি তাইজুল ইসলামকে (তাজু ডাক্তার) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো একটি দা, ভিকটিমের ব্যবহৃত বাটন মোবাইল সেট, রক্তমাখা পোশাক উদ্ধার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে নরসিংদী জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য উপস্থাপন করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান (পিপিএম)।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান (পিপিএম) বলেন, মূলত ব্যাবসায়িক দ্বন্দ্ব ও পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করেই নৃশংস এই হত্যা হয়েছে।
নিহত সাইফুল সাথে গ্রেফতারকৃত তাইজুল ইসলাম (তাজু ডাক্তার) গরুর ব্যবসা করতো। সেই হিসেবে নিহত সাইফুল ব্যবসায়িক পাটনার তাজুলের কাছে ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা পায়। তাজুল সেই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। বিষয়টি নিয়ে দুই জনের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় তাজুল সাইফুলকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়।
সেই মোতাবেক গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে সাইফুল ইসলামকে তার পাওনা টাকা পরিশোধ করবে মর্মে রাত ১০টার দিকে পঞ্চগ্রাম ঈদগাহ মাঠে ডেকে নিয়ে আসে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গ্রেফতারকৃত তাইজুল ইসলামের সহযোগী সোলেমান, তারেকসহ আরেকজনের সহায়তায় ভিকটিমের গলায় থাকা গামছায় টান দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। পরে তাইজুল ইসলাম তার সাথে থাকা ধারালো দা দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে সাইফুল ইসলামের দেহ থেকে মাথা আলাদা করে।
পরে পুলিশ তদন্ত ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত ১২ সেপ্টেম্বর পাবনা জেলার আটঘরিয়া থানার বাঁচামরা এলাকা থেকে তাইজুল ইসলাম (তাজু ডাক্তার) কে গ্রেফতার করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার কথা স্বীকার করে।
পরে তার দেয়া তথ্য মতে হত্যায় ব্যবহৃত দা ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধর করা হয়। এবং পরে অভিযুক্ত তাজুল বিজ্ঞ আদালত ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দী প্রদান করে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজল ই খুদা, শিবপুর থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার, গোয়েন্দা পুলিশের ওসি খোকন চন্দ্র সরকারসহ পুলিশের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা।