আলম খান
নিজস্ব সংবাদদাতা:
পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়ে থানায় অভিযোগ দাখিল করলেও কোন অগ্রগতি নেই শিবপুর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে।অপর দিকে গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে রাজনৈতিক নেতাদের উপস্হিতিতে গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংশা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।কিন্তু বিবাদী পক্ষ শালিসে উপস্হিত না হওয়ায় তাও বেস্তে যায়।উপজেলা আওয়ামীলীগের এক প্রভাবশালী নেতার গ্রীন সিগন্যাল না থাকায় বালু ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী গ্রুপের নেতা গ্রাম্য শালিসে উপস্হিত হন নি বলে একটি সূত্র জানায়।উক্ত শালিসে উপস্হিত থাকার কথা ছিল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান,আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া পরিষদের সদস্য সচীব আলহাজ্ব আরিফ উল ইসলাম মৃধা ও শিবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো: আসাদুজ্জামান আসাদ।স্হানীয় কয়েকজন সংবাদকর্মী কর্মী মনে করেন- শিবপুরের একজন প্রভাবশালী আ’লীগ সন্ত্রাসীদের পক্ষ নেওয়ায় বিচার পাচ্চে না সাংবাদিক আলম খান।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে মানবাধিকার সোসাইটি (জাপমাস) এর শিবপুর উপজেলা শাখার সভাপতি, শিবপুর প্রেসক্লাবের তিন বারের আহবায়ক সাংবাদিক আলম খান শিবপুরের আলো ২৪ ডট কম কে বলেন-আমি পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে সন্ত্রাসীরা আমার উপর আক্রমন করে আহত করে।পরে বিষয়টি প্রেসক্লাবকে অবহিত করে শিবপুর থানায় একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করি।কিন্তু ঘটনার পর অনেক দিন অতিবাহিত হলেও স্হানীয় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন কার্যক্রর পদক্ষেপ নেওয়া হয় নি।গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংশা করার চেষ্টা করা হয়েছিল।কিন্তু একজন প্রভাবশালী আ’লীগ নেতার কারণে তা আর সম্ভব হয়নি। ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য আমি আমার মতো করে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।আমি এখনো আশা করি স্হানীয় সংবাদকর্মীরা দল মত নির্বিশেষে সম্মিলিত ভাবে আমার পাশে এসে দাঁড়াবেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে শিবপুর থানা পুলিশ শিবপুরের আলো ২৪ ডট কম’কে জানায়, সাংবাদিক আলম খান থানায় একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করেছিলেন।সেই অ্ভিযোগের পরিপেক্ষিতে থানার সাবেক ওসি মো: সালাহ উদ্দীন মিয়া ঘটনা স্হল পরিদর্শন করে ছিলেন।
উল্লেখ্য যে, নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নে অবৈধভাবে লালমাটির টিলা ও ফসলী জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রির সংবাদ সংগ্রহ করে উপজেলার কামরাবো গঙ্গাজলি ব্রিজের কাছে সংবাদ সংগ্রহ করে চলে যাওয়ার সময় কামরাবো গ্রামের জয়নালের ছেলে রনি (৩০) ও সুজাতপুর গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে লুৎফর (৪৮) এর নেতৃত্বে অজ্ঞাত ৩/৪ জন আমার ব্যবহৃত সিনজির গতিরোধ করে।পরে গতিরোধ করার কারণ জানতে চাইলে তারা আলম খানকে গাড়ি থেকে টেনে নামিয়ে কিল ঘুষি মেরে আহত করে।