নিহত কলেজ ছাত্র নাহিদ.
নিজস্ব সংবাদদাতা::
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলায় দুই গ্রামের তরুণদের দ্বন্দ্বের জেরে নাহিদ মিয়া (১৯) নামের কলেজ ছাত্রকে হাত পায়ের রগ কেটে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
রোববার (৯ জুলাই) রাতে নিহতের বাবা মো: আসাদ মিয়া নয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয়ের আরো পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করে মামলাটি করেন। এরপর অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এর আগে রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার সাধারচর ইউনিয়নের সাধারচর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত নাহিদ মিয়া ওই ইউনিয়নের মৈশাদীর তাতারকান্দী গ্রামের মো: আসাদ মিয়ার ছোট ছেলে। সে হরিহরদী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অনিয়মিত শিক্ষার্থী ছিল। সোমবার (১০ জুলাই) বাদ আসর জানাজা শেষে তার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন দেলোয়ার হোসেন (২১), তুহিন ভূঁইয়া (২০), ইয়াসিন মিয়া (২২), সাইফুল ইসলাম (২০), মো: শান্ত (২০), আবদুর রহমান (১৯), নাজমুল ইসলাম (২০), মো: লিমন (২১) ও শাওন মিয়া (২০)। তারা সবাই মৈশাদী এলাকায় একসাথে চলাফেরা করেন। তাদের মধ্যে তুহিন ভূঁইয়া ও ইয়াসিন মিয়া পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন।
মামলারবাদী মো: আসাদ মিয়া বলেন, ‘ফুটবল খেলায় মারামারির ঘটনা মিটিয়ে দিতে গিয়েছিল আমার ছেলে নাহিদ ও তার বন্ধুরা। ওই ঘটনাটি পরে দুই গ্রামের দুই দল ছেলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল। আমার ছেলেকে যারা এমন নির্মমভাবে হত্যা করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই আমি।
শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ তালুকদার বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত দুজন গ্রেফতার আছেন। তাদের নরসিংদীর আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার এজাহারভুক্ত ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।