• বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:১০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

নিজস্ব সংবাদদাতা.

শিবপুরে শিশু সায়মা হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার ২

admin / ১৩৩৬ Time View
Update : বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২

শিবপুর উপজেলার যশোর ইউনিয়নে শিশু নুসরাত জাহান সায়মাকে (৮)হত্যার অভিযোগে শিবপুর থানা পুলিশ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে।এরা হলো উপজেলার যশোর ইউনিয়নের পাহাড়ফুলদী গ্রামের মৃত জমশের আলীর পূত্র হানিফা (৪৫) ও তার স্ত্রী সেলিনা বেগম (২৮)।এ ব্যাপারে শিবপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।মামলা নং ১১, তারিথ ১৪/৯/২০২২।অপর দিকে খুন হওয়া সায়মা’র লাশ এক নজর দেখতে এলাকাবাসীর উপচেপড়া ভীড়।
জানাগেছে,উপজেলার যশোর ইউনিয়নের নন্দারটেক এলাকার আঃ রহমানের ২য় মেয়ে নুসরাত জাহান সায়মা (৮) গতকাল ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে
নিখোঁজ হয়।অনেক জায়গায় খোজ নিয়েও সায়মার কোন খবর পাওয়া যায়নি। পাশ্ববর্তী বাড়ীর ভাড়াটিয়া সেলিনা বেগমের মেয়ে রাইছা (৫) এর সাথে নুসরাত জাহান সায়মা প্রায় সময়ই খেলাধুলা করতো। একে অপরের বাড়ীতে আসা যাওয়া করত সে কারণে বারবার মেয়ের খোজে এলাকার অন্যান্য লোকজন সেলিনা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার মেয়ের খবর জানতে চায়। কিন্তু সে কিছু জানেনা মর্মে জানান। এতে করে ভিকটিমের পিতাসহ এলাকার লোকজনের সন্দেহ হলে যোশর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান যোশর ইউনিয়নের বিট অফিসার এসআই/মিনহাজকে বিষয়টি অবহিত করা হলে এসআই মিনহাজ ও সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছায় এবং সেলিনা বেগম ও তার স্বামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
সেলিনা বেগমের স্বামী হানিফা বিভাটেক চালক। সে বাড়ীতে এসে স্ত্রীর কাছে বিষয়টি জানতে পারে তার স্ত্রী নুসরাত জাহান সায়মাকে হত্যা করে লাশ লোহার মেটসেফের ভিতরে রেখেছে। কিন্ত তার পরে সে লোকজনের কাছে অস্বীকার করে লাশ ঘরে অপেক্ষা করতে থাকে এবং লাশ গোপনসহ ঘটনাকে অন্য খাতে প্রভাবিত করার নিমিত্তে অপেক্ষমান থাকে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল স্বামী-স্ত্রী মিলে রাতের অন্ধকারে সায়মার লাশ যে কোন জায়গায় ফেলে দিবে। পরবর্তীতে থানা পুলিশ সেলিনা বেগমের ভাড়াটিয়া ঘর তল্লাশী করে এক পর্যায়ে উক্ত ঘর হতে লোহার মেটসেফের মধ্যে বস্তাবন্দি অবস্থায় নুসরাত জাহান সায়মা’র ৮) লাশ উদ্ধার করে।

সায়মার দাফন সম্পন্ন
আজ বিকেলে (১৪/৯/২০২২) নিজ গ্রামে সায়মার জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।যোশর ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে অনুষ্ঠিত জানাজা নামাজে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন নরসিংদী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলহাজ্ব মনজুর এলাহী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আরিফ উল ইসলাম মৃধা, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান মিন্টু, যোশর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তোফায়েল হোসেন, বর্তমান চেয়ারম্যান রাসেল আহমেদ। বক্তারা শিশু সায়মা জাহানকে নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে গভীর শোক প্রকাশ করে।এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। একই সাথে হত্যাকান্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করেন। জানাজা নামাজ শেষে নিহত সায়মা জাহানকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category