আলো রিপোর্ট::
নির্বাচন কমিশনের ঘোষণাকৃত তফসিল অনুযারী আগামী ৭ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দলীয় সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনের অংশ গ্রহণ করবে না এই সিদ্ধান্তে অটুট তারা। তবে শেষ মূহুর্তে বিএনপি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারে বলেও মনে করেন অনেকে। নরসিংদী ৩ শিবপুর আসনে বিএনপির যে ক’জন সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী রয়েছে তারা সবাই বর্তমানে মামলার আসামী।
জাতীয় সংসদের ২০১ আসনে ( নরসিংদী ৩ শিবপুর) বিএনপির সম্ভ্যবা এমপি প্রার্থীরা হলেন নরসিংদী জেলা বিএনপির সদস্য সচীব মনজুর এলাহী, শিবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হারিস রিকাবদার, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আকরামুল হাসান মিন্টু। । এরা সবাই দীর্ঘ সময় ধরে এলাকায় গণসংযোগ সহ বিভিন্ন প্রচার ও প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। অবশ্য জেলা বিএনপির সদস্য সচীব ও গত ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শিবপুর আসনের বিএনপির দলীয় মনোনীত প্রার্থী মনজুর এলাহী বর্তমানে রয়েছেন জেল হাজতে।
শিবপুর মডেল থানা সূত্রে জানাগেছে, গত ২রা নভেম্বর পুলিশ বাদী হয়ে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ (৩) ধারায় শিবপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং১। দায়ের করা মামলায় ৩৭ জনের নাম উল্লেখ সহ আরো অজ্ঞাত ১৫/২০ জনকে আসামী করা হয়। মামলায় যাদের কে আসামী করা হয়েছে তাদের মধ্যে আবুল হারিছ রিকাবদার (৭৫), আকরামুল হাসান মিন্টু (৩৬), আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া পরিষদের সদস্য সচীব ও সাবেক উপজেলা বিএনপির সদস্য সচীব আরিফুল ইসলাম মৃধার নাম রয়েছে।
গত ১ নভেম্বর বিএনপি – জামায়াতের অবরোধ কর্মসূচী পালন কালে শিবপুর উপজেলার ঘাসিরদিয়া সাকিনাস্থ কাউসারের মুরগীর ফার্মের সামনে ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের উপর যাত্রীবাহী ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সাতে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে রাস্তায় গাড়ী চলাচলে প্রতিবন্ধকতা চেষ্টা করে তারা।
স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা শিবপুরের আলো ২৪ ডট কম’কে বলেন —– সরকার মামলা দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের আন্দোলন থেকে দূরে রাখতে চায়। সরকারের পুতুল নির্বাচন কমিশন সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে যা অবৈধ। আমাদের শিবপুর আসনে বিএনপির তিন জন্য সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী রয়েছে।তাদের সবার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও শিবপুর আসনের সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী আকরামুল হাসান মিন্টু শিবপুরের আলো ২৪ ডট কম’কে বলেন — বর্তমান স্বৈরাচার সরকার জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। সরকারের এজেন্ট নির্বাচন কমিশন যে তফসিল ঘোষণা করেছে তা অবৈধ। বিএনপি যাতে মাঠে আন্দোলন করতে না পারে সেই জন্যই নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিএনপি দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে না।