আহত সাংবাদিক আলম খান
নিজস্ব সংবাদদাতা:
গত মঙ্গলবার শিবপুর প্রেসক্লাবের সাবেক আহবায়ক ও দৈনিক নওরোজ পত্রিকার শিবপুর প্রতিনিধি সাংবাদিক আলম খান সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে আহত হন।ঘটনাটি জাতীয় ও স্হানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে নজর কারে ঢাকা ও নরসিংদীর সাংবাদিকদের।ফলে তারা হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দ্রা করে।পাশাপাশি ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতারের দাবীও জানানো হয়।কিন্তু হামলার শিকার হয়ে দু’দিন অতিবাহিত হলেও শিবপুর প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে কোন প্রতিবাদ বা নিন্দ্রা জানানো হয়নি।যা অত্যান্ত দুংখজনক বলে মনে করেন অনেকে।৩২ সদস্যের এই ক্লাবটি কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত হওয়ায় ঘটনার প্রতিবাদ বা নিন্দ্রা জানানো সম্ভম হয়নি বলে জানায় ক্লাবের কয়েকজন সদস্য।শিবপুর প্রেসক্লাব নিরব থাকার কারণে স্হানীয় সাংবাদিকদের মধ্যে গ্রুপিংয়ের বিষয়টি প্রকাশ হয়েগেছে বলে মনে করেন সচেতন মহল।যা শিবপুরের জন্য একটি দুসংবাদ।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে আহত সাংবাদিক আলম খান বলেন— পেশাগত দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে আমি সেখানে গিয়েছিলাম তথ্য যাচাই করতে।কিন্তু সেখান থেকে ফিরে আসার সময় রাস্তায় আমার উপর আক্রমন চালায়।পরে ঘটনাটি জাতীয় ও স্হানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেলে ঢাকা প্রেসক্লাব সহ নরসিংদীর সাংবাদিকরা এই হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দ্রা জানায়।পাশাপাশি ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করার দাবী জানানো হয়।কিন্তু অত্যান্ত দুংখের বিষয় শিবপুর প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে কোন প্রতিবাদ বা নিন্দ্রা জানানো হয়নি।আমি মনে করি ক্লাবের কোন সদস্য হামলায় শিকার হলে সম্মিলিত ভাবে তার মোকাবেলা করা উচিত।তিনি আরো বলেন-আমি শিবপুর প্রেসক্লাবের সদস্য।আর ক্লাবের উপদেষ্টা হলেন শিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিনিয়া জিন্নাত।অথচ দু’দিন আগে আমার উপর হামলা করা হলেও ইউএনও আমার কোন খোঁজখবর নেন নি।
শিবপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অসুস্হ থাকায় এ ব্যাপারে ক্লাবের সভাপতি এস এম খোরশেদ এর সাথে শিবপুরের আলো ২৪ ডট কমে’র পক্ষ থেকে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়।কিন্তু সভাপতির মোবাইল বন্ধ থাকায় এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য যে, নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নে অবৈধভাবে লালমাটির টিলা ও ফসলী জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রির সংবাদ সংগ্রহ করে উপজেলার কামরাবো গঙ্গাজলি ব্রিজের কাছে সংবাদ সংগ্রহ করে চলে যাওয়ার সময় কামরাবো গ্রামের জয়নালের ছেলে রনি (৩০) ও সুজাতপুর গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে লুৎফর (৪৮) এর নেতৃত্বে অজ্ঞাত ৩/৪ জন আমার ব্যবহৃত সিনজির গতিরোধ করে।পরে গতিরোধ করার কারণ জানতে চাইলে তারা আলম খানকে গাড়ি থেকে টেনে নামিয়ে কিল ঘুষি মেরে আহত করে।