মাহাবুব খান:
ছয় দিন জেল হাজতে থাকার পর স্থায়ী জামিন পেয়ে মুক্তি পেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শিবপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু ছালেক রিকাবদার।আজ বৃহস্পতিবার (১৬/২/২০২৩) নরসিংদী জজ কোর্টে আবু ছালেক রিকাবদারকে হাজির করলে দীর্ঘ শুনানীর পর আদালত তাকে স্থায়ী জামিন দেন।জামিনের কাগজপত্র জেলহাজতে প্রেরনের পর সন্ধ্যায় জেল থেকে বের হলে বিএনপির নেতাকর্মীরা ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে তাঁকে।
জানাগেছে, প্রায় তিন মাস আগে আবু ছালেক রিকাবদারকে একটি বিস্ফোরক মামলার আসামী করে মামলা দায়ের করা হয় শিবপুর থানায়। কিন্তু মামলা দায়ের করা হলেও ততকালীন ওসি তাঁকে গ্রেফতার করেনি। ২০২২ সালের ২৪ ডিসেম্বর নরসিংদী থেকে বদলী হয়ে শিবপুর মডেল থানার ওসির দায়িত্ব গ্রহণ করেন ফিরোজ তালুকদার।নতুন ওসি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার দেড় মাসের মাথায় তার নির্দেশে গত ১০ ফেব্রুয়ারী রাত নয়টায় নিজ বাসার সামনে থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু ছালেক রিকাবদারকে গ্রেফতার করা হয়।পরের দিন কোমরে রশি বেঁধে মুক্তিযোদ্ধাকে কোর্টে প্রেরন করা হয়। কিন্তু আদালত তাকে জামিন না দিয়ে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন।আজ দ্বিতীয় বার জজ্ কোর্টে হাজির করলে আদালত তাঁকে স্থায়ী জামিন দেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বীর মুক্তিযোদ্ধা,উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক,শিবপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু ছালেক রিকাবদার শিবপুরের আলো ২৪ ডট কম’কে বলেন—আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনৈতিক দলের নেতা।আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে এ দেশ স্বাধীন করেছি।অথচ জীবনের শেষ বয়সে এসে মিথ্যা মামলার আসামী হয়ে জেল হাজতে থাকতে হয়েছে।একজন মুক্তিযোদ্ধার কোমরে রশি বেঁধে সকল মুক্তিযোদ্ধাকে অসম্মান করেছে পুলিশ প্রশাসন।মিথ্যা মামলায় আমাকে গ্রেফতার করার পর সংবাদকর্মীরা বিষয়টি নিয়ে জাতির সামনে তুলে ধরায় আমি তাদের প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞ।
তিনি আরো বলেন—আমি একজন বয়স্ক মানুষ।আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা উচিত হয়নি। আমার দল বিএনপিও ক্ষমতায় ছিল।কিন্তু আমরা ত কাউকে হয়রানী করিনি।প্রকৃত পক্ষে যারা আওয়ামীলীগ করতেন তাঁরা আজ স্থানীয় ভাবে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে না থাকার কারণেই এমনটা হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।