মরহুম আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া
বিএনপি চেয়ারপাসন বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শোকবার্তা- “মরহুম আব্দুল মান্নন ভূঁইয়া ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা ও অকুতোভয় রাজনীতিক। ছাত্রজীবন থেকে মরু করে নানা চড়াই উৎরাই-এর মাধ্যদিয়ে তিনি জাতীয় রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিলেন। গণদাবীর স্বপক্ষে তিনি সমসময় সোচ্চার এবং দায়িত্ব পালনে অত্যন্ত নিষ্ঠাবান ছিলেন। তাঁর মুত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে শূন্যতার সৃষ্টি হলো।’
বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন দলের সাবেক মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভূঁইয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেছেন ‘মান্নান ভূইঁয়া আজ সবকিছুর উর্ধ্বে। তিনি কি রকম মানুষ ছিলেন ইতিহাস ও দেশের মানুষ তাঁর মূল্যায়ন করবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডঃ খন্দকার মোশারফ হোসেন এক শোক বানীতে বলেছেন ‘মান্নান ভূঁইয়া ছিলেন একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক রাজনীতিক। তিনি দীর্ঘদিন বিএনপির মহাসচিব থেকে দক্ষতার সঙ্গে রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করেছেন।’
দীর্ঘ ৪-দশকের রাজনৈতিক সহকর্মী এবং বিএনপি’র স্থায়ী কমিটি সদস্য এম. তরিকুল ইসলাম তার শোকবার্তায় বলেন-‘মান্নান ভূঁইয়া ছিলেন বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী। তিনি আয়ুবশাহ বিরোধী ’৬৯-এর গণঅভূত্থান’’৭১ এর স্বাধীনতা আন্দোলন, এরশাদ সরকার বিরোধী আন্দোলনসহ দেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অসামান্য অবদান রেখেছেন। দেশ ও জাতীর প্রতি তাঁর ভালোবাসা এদেশের মানুষ কখনো ভুলবেনা।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ্উদ্দিন কাদের চৌধুরী তাঁর শোকবার্তায় বলেন ‘একজন সৎ রাজনীতিবিদ হিসেবে দীর্ঘদিন তিনি দেশ এবং জাতির সেবা করেছেন। সাধারণ জীবন যাপন করতেন মান্নান ভূঁইয়া। দুর্নীতি কখনো তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনি। তাঁর ছেলেদের তিনি মানুষের মত মানুষ করতে পেরেছেন। তাঁর স্ত্রী অধ্যাপক করিয়ম বেগম, ছেলে রাজন, স্বজন সহ সবাই এ শোক কাটিয়ে উঠুক-এ প্রত্যাশা করেন তিনি।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জে,এস ডি) সভাপতি আ.স.ম রব বলেছেন-‘মান্নান ভূঁইয়া ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি যুদ্ধ না করলে এদেশ বাংলাদেশ হতোনা। তিনি জনগণের শাসন কায়েম করতে চেয়েছিলেন। ভবিষ্যৎ বংশধররাই বলবে এই প্রবীণ রাজনীতিককে মূল্যায়ন করা হয়নি।’
জাতীয় সংসদের চীপ হুইপ উপাধ্যক্ষ মো: আব্দুস শহীদ এ বিবৃতিতে বলেন-‘বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি ছিলেন এক সৈনিক। সামরিক তথা অগণতান্ত্রিক শাসন বিরোধী, আন্দোলন সংগ্রামে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়। এদেশে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান জাতি চিরকাল স্মরণ রাখবে।’
যুক্তরাজ্যে সফররত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যন সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন-‘মান্নান ভূঁইয়ার মত একজন বরেণ্য রাজনৈতিক নেতার মৃত্যুর খবর শুনে আমি দারুনভাবে মর্মাহত হয়েছি। এক বর্ণিল রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী এই নেতা মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখাসহ দেশসেবায় অনন্য ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিশাল শূণ্যতার সৃষ্টি হল’।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন-৭১-এর মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে তিনি বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করে দেশকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস ও জামাতের ঘৃন্য যড়যন্ত্র থেকে দেশকে মু্ক্ত করেছিলেন। জাতি তাঁর কথা শ্রদ্ধায় চিরদিন স্মরণ করবে।’
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট তারানা হালিম বলেছেন-‘আবদুল মান্নান ভূঁইয়া দেশ ও মানুষের মঙ্গলের জন্য চিরজীবন সংগ্রাম করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে দেশমাতৃকার জন্য যুদ্ধ করেছেন। তাঁর অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরন করবে।’
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা তোফায়েল আহমেদ এক শোক বার্তায় বলেছেন-‘মান্নান ভূঁইয়া নির্লোভ মানুষ ছিলেন, ছিলেন নিরহঙ্কারী। দলমত ভিন্নতা থাকলেও তিনি প্রতিপক্ষের নেতাদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচারণ করতেন। প্রগতিশীল এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে হারিয়ে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।’
জাতীয় সংসদের স্পীকার আবদুল হামিদ এ্যাডভোকেট এক শোকবার্তায় বলেছেন- ‘মান্নন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে দেশ একজন বরেণ্য রাজনীতিবিদকে হারাল। তাঁর মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গণে যে, শূণ্যতার সুষ্টি হয়েছে তা পূরণ হবার নয়।
রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমান বিএনপি’র সাবেক মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়া ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। বুধবার এক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমান মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারে সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবদুল মান্নান ভূঁইয়ার ইন্তেকালে গভীর শোক করে তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতিগভীর সমবেদনা জনান।
আবদুল মান্নন ভূঁইয়ার মৃত্যুতে পৃথক পৃথক শোকবার্তায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ.এম.এরশাদ, জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চোধুরী, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা: দিপুমনি, টেলিযোগযোগমন্ত্রী রাজিউদ্নি আমেদ রাজু বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট এ.কিউ.এম. বদরুদ্দোজা চৌধুরী, সংসদের চীফ হুইপ উপাধাক্ষ্য আব্দুস শহীদ, জাতীয় পার্টি (জেপি)’র চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম, শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের পক্ষে রায় রমেশ, বিশ্ব কবিতাকন্ঠ পরিষদের চেয়ারম্যান কবি জাহাঙ্গীর আলম, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ এম এ মতিন ও মাহসচিব আবু নাসের মুহম্মদ রহমাতুল্লাহ্, বাংলাদেশ মুসলিম গীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট জিএখান, নির্বাহী সভাপতি এইচ এম কামরুজ্জামান খান, মাহাসচিব আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশের তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান আহাজ্ব সৈয়দ নাজিবুর বশর মাইজভান্ডারী ও মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, 11 দলের সমন্বয়ক মাহমুদুর রহমান বাবু, ঢাকা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া প্রমূখ।
খোরশেদ আলম মিয়াজী
প্রচার সম্পাদক
আব্দুল মান্নান ভূইঁয়া পরিষদ।