নিজস্ব সংবাদদাতা:
শিবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হারুনুর রশীদ খাঁন কে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে কতিপয় সন্ত্রাসীরা। গত ২৫ ফেব্রুয়ারী নিজ বাসায় গুলি করে হত্যার চেষ্টা করলেও ঘটনার ৯৪ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় (৩১ মে) মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুর পরের দিন দায়ের করা মামলায় শিবপুর আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহনের নাম অন্তর্ভূক্ত না করলেও মৃত্যুর ৩৪ দিন পর নতুন করে এমপি জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন ও প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা সহ ২০ জনের নাম নতুন করে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করতে আবেদন করা হয়েছে।ফলে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ খাঁনের ছেলে ও মামলার বাদী আমিনুর রশীদ খাঁনের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগের তৃনমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে নিন্দ্রার ঝড় বইছে। ।জীবিত অবস্থায় হারুনুর রশীদ খাঁন স্হানীয় সংসদ সদস্য ও প্রভাবশালী নেতাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করেনি।অথচ ওনার মৃত্যুর ৩৪ দিন পর হঠাৎ করে তাদের নাম মামলায় অন্তর্ভূক্ত করতে আবেদন করেছেন আমিনুর রশীদ খাঁন।এটা মেনে নেওয়া যায় না, শিবপুরের আলো ২৪ ডট কম’কে এমনটাই বলেছেন স্হানীয় আওয়ামীলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী।
গত ৪ জুলাই শিবপুর পৌরসভা আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও মামলার বাদী আমিনুর রশিদ খান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জহিরুল হক ভূইয়া মোহন জেলা যুবলীগের সহ সভাপতি জুনায়েদুল হক ভূইয়া জুনু, সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মাছিমপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারস্যান ফরহাদ আলম ভূইয়া,উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো: আসাদুজ্জামান আসাদ, দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, সৈয়দ মাসুদ পারভেজ, ফারুক খান, সিরাজ মিয়া, বাদল মিয়া, আশরাফুল ইসলাম রিপন, সুমন, আমান উল্লাহ ভূইয়া, রাকিবুল ইসলাম ইরফান, কাউছার মিয়া, শাহাদত হোসেন, সেলিম, সজিব মোল্লা, আরমান পাশা, শাওন খান ও বাবুল মিয়াকে এই হত্যা মামলায় আসামি হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করতে আবেদন করা হয়।
আবেদনপত্রটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার, গোয়েন্দা পুলিশ, সিআইডি, পিবিআইসহ বিভিন্ন দপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে।