ছবি : সংগৃহীত
ঢাকা -মনোহরদী সড়কের শিবপুর কলেজ গেইড আব্দুল মান্নান ভুঁইয়া গোল চত্বরের প্রায় এক কিলোমিটার দক্ষিণ দিক থেকে চালু হয়েছে ডিসি রোড।এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে স্কুল, কলেজে পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী সহ সাধারণ জনগণ।কিন্তু শিবপুর পৌরসভার ময়লা আর্বজনা ফেলে সড়কের দুই পাশে ডাস্টবিন বানিয়ে রাখা হয়েছে।ফলে দুর্গন্ধের কারণে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা পথচারীদের হচ্ছে অসুবিধা ।এই বিষয়টি নিয়ে জাতীয় ও স্হানীয় গণমাধমে সংবাদ প্রকাশিত হলেও টনক নড়েনি পৌরসভা কর্তৃপক্ষের।
জানাগেছে, ২০০৬ সালে ঘোষণা করা হয় শিবপুর পৌরসভা।কিন্তু ময়লা আর্বজনা রাখলে যাতে পরিবেশ দূষণ মুক্ত থাকে ও জনসাধারণের চলাচলে কোন সমস্যা না হয় এমন জায়গা আজও পর্যন্ত পৌরসভা কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করতে পারে নি।ফলে শিবপুর পৌরসভা বিশেষ করে শিবপুর সদর এলাকার সকল ময়লা আর্বজনা রাখা হচ্ছে ডিসি সড়কের শুরু হওয়া রাস্তার দুই পাশে।ফলে দুর্গন্ধের কারণে স্হানীয় বাসিন্দা ও পথচারীদের হচ্ছে অসুবিধা। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিনই উপজেলা পরিষদ, শিবপুর মডেল থানা,শিবপুর সরকারী মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়,শিবপুর পৌরসভা কার্যালয়,শিবপুর বাজার সহ বিভিন্ন সরকারী – বেসরকারী অফিসে ছাত্র/ছাত্রী সহ স্হানীয় জনগণ যাতায়াত করে।শুরু হওয়া ডিসি সড়কের পশ্চিম পাশে রয়েছে বান্ধারদিয়া পুর্ব পাশে রয়েছে বানিয়াদী গ্রাম।উত্তরে রয়েছে স্কুল ও রেস্টুরেন্ট।এই রকম জনবহুল এলাকার পাশে ময়লা আর্বজনা রাখায় এটাকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কান্ড জ্ঞানহীন কাজ বলে মনে করছেন ভুক্তভোগীরা।
এ ব্যাপারে স্হানীয় কয়েকজন বাসিন্দা ও পথচারী দৈনিক সকালের আলোকে বলেন – এটা কি ময়লা – আর্বজনা রাখার জায়গা।সড়কের দুই পাশে ডাস্টবিন বানিয়ে রাখায় দুর্গন্ধের কারণে আমাদের অনেক সমস্যা হচ্ছে।আমরা আশাকরি সব কিছু বিবেচনা করে পৌর কর্তৃপক্ষ অতিতাড়াতাড়ি ময়লা – আর্বজনা পরিষ্কার করে আমাদেরকে শান্তিতে থাকার সুযোগ দিবেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংস্হার নির্বাহী পরিচালক মো: শামীম হাসান দৈনিক সকালের আলোকে বলেন-শিবপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ডিসি সড়কের দুই পাশে ময়লা ফেলে পরিবেশ নষ্ট করছে।যা আমরা দেখেও প্রতিবাদ করার মতো সাহস পাচ্ছি না।তবে পৌর কর্তৃপক্ষ এ রকম কাজ করায় আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।
এ ব্যাপারে পৌরসভা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে দৈনিক সকালের আলোকে বলেন – আমাদের চিন্তা- ভাবনা রয়েছে কিছু দিনের মধ্যেই এখান থেকে ময়লা- আর্বজনা সরিয়ে ফেলার।তবে কবে নাগাদ তা হবে নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি তিনি।
তবে অন্য একটি সূত্র বলছে ডিসি সড়কের দুই পাশে রাখা ময়লা- আর্বজনা সরিয়ে ফেলার প্রতিশ্রুতি দিলেও কাজের কাজ কিছুই করেন নি পৌর প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিনিয়া জিন্নাত।